ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক প্রধান হিসেবে এমএসকে প্রসাদের কার্যকাল বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভার পরই শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই গগণ খোড়ারও কার্যকাল শেষ হয়ে গিয়েছে। জানিয়ে দিই যে এমএসকে প্রসাদকে ২০১৬য় নির্বাচক প্রধানের পদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ২০১৫য় নির্বাচক কমিটিতে শামিল হয়ে গিয়েছিলেন আর এক বছর পর তাকে নির্বাচক প্রধানের পদ দেওয়া হয়ছিল।
আমাদের স্রেফ ২জন নির্বাচকেরই প্রয়োজন
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী এই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেছেন,
“আমাদের স্রেফ ২জন নির্বাচকেরই প্রয়োজন রয়েছে, কারণ অন্য ৩জন নির্বাচকের কার্যকাল এখনো শেষ হয়নি। ২জন নতুন নির্বাচককে বাছার জন্য আমরা ২-৩দিনের মধ্যেই ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি তৈরি করে নেব, কারণ সিএসির জন্য যে খেলোয়াড়দের অ্যাপ্রোচ করব তো তাদের এর জবাব দেওয়ার জন্য কিছুদিনের সময় থাকা উচিৎ, এই কারণে আমরা খুব দ্রুতই আপনাদের এই বিষয়ে আপডেট দেব”।
মিডিয়া রিপোর্টের অনুযায়ী ভারতের প্রাক্তন স্পিনার এবং কমেন্টেটর লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণণের নাম এমএসকে প্রসাদের জায়গা নেওয়ার জন্য সবার আগে রয়েছে। শিবরামকৃষ্ণাণের কাছে টিএনসিএর থেকে সমর্থন রয়েছে, যাদের এখন বিসিসিআইতে কর্তৃত্ব রয়েছে। রিপোর্টের অনুসারে আশিস নেহেরা, অজিত আগরকার, দীপ দাশগুপ্তা আর রোহন গাভাস্কারও নির্বাচক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
আমরা কোয়ালিটি ক্রিকেটের সন্ধান করছি
জানিয়ে দিই যে কিছুদিন আগেই সৌরভ গাঙ্গুলী ৪টি দেশের সুপার সিরিজের ঘোষণা করেছিলেন। সুপার সিরিজের ব্যাপারেও কথা বলতে গিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন,
“এর পেছনের কারণ হলো শুধু একটি ভালো, প্রতিস্পর্ধী টুর্নামেন্ট করার। আমাদের চারটি দেশের টুর্নামেন্টের জন্য প্রসারকদের আর আইসিসির কাছ থেকে মঞ্জুরি নিতে হবে। তারপর ফিউচার ট্যুর্স প্রোগ্রাম (এফটিপি)কেও দেখতে হবে। এটা একটা দারুণ টুর্নামেন্ট বানানোর একটা ধরণ। আমরা কোয়ালিটি ক্রিকেটের সন্ধান করছি। আজ আমরা যা দেখছি সেটা হল খালি দ্বিপাক্ষিক সিরিজই হচ্ছে। মানুষ একটা উচ্চশ্রেণীর টুর্নামেন্ট দেখতে চান, এই কারণে আমরা এটা করার প্রয়াস করছি”।