সুপ্রীম কোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআইয়ের প্রসাশনিক কমিটি ভারতের বর্তমান প্রধান কোচ অনিল কুম্বলেকে ভারতীয় দলের ডিরেক্টর করার বিষয়ে এক ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছিল রাহুল দ্রাবিরের কোচ হওয়া নিয়ে। রাহুল এখন ভারত এ এবং ভারতের অনুর্দ্ধ ১৯ দলের কোচ। তিনি বেশ ভালই দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজেই এই জল্পণা বেশ স্বাভাবিকই লাগছিল। কিন্তু এমনটা না হওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছে।
কুম্বলে ইতিমধ্যেই ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান প্রধান কোচ হিসেবে বেশ সফল। শচীন-সৌরভ-লক্ষণের কমিটি কুম্বলের ওপর যে ভরসা দেখিয়েছিল, তা পালন করেছেন তিনি। কুম্বলের নেতৃ্ত্বে ভারতীয় দল ভাল প্রদর্শন করলেও, গুরুর দায়িত্ব এখনই শেষ হয়ে যায়নি কুম্বলের। কারণ, একটি কোচকে একটা ভারসাম্যমূলক দল করতে দিতে মাত্র এক বছর যথেষ্ট নয়। আবার মাত্র দু’বছর কাটলেই চলে আসবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তাই ভারতীয় দলের এই উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চাইবে না বোর্ড।
এদিকে, জুনিয়র টিমের কোচ হিসেবেও দ্রাবিড় নজরকাড়া পরিশ্রম করেছেন। তাঁর পরিশ্রমের ফলেই ভারত ২০১৬ অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে। এছাড়া জুনিয়র খেলোয়ারদের দারুণ গ্রুমিং করে রাহুল তাদের পরিণত ক্রিকেটারে পরিণত করছে। এর ফলে রিষভ পান্থ, ঈশান কিশনের মত ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে ভারতে।
পাশাপাশি, ভারতের এ টিমেও তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। দ্রাবিড়ের জন্যই ভারতীয় জাতীয় দলে আবার ফিরে আসে হার্দিক পাণ্ডিয়া। কোনও বিষয়ে অতিরঞ্জকতা ও বাড়িয়ে বলার এক মুদ্রা দোষ ছিল হার্দিকের। পাশাপাশি তাঁর ফর্মও খুব একটা ভাল যাচ্ছিলনা। তাই দলের মধ্যে তাঁর একটা অবনতি হয়েছিল। দ্রাবিরের গ্রুমিংয়ের ফলে হার্দিক তাঁর খামতিগুলি মিটিয়ে নেয় ও আবার জাতীয় দলের এক অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
দুদিকের এই সুন্দর ভারসাম্য বোধহয় ভাঙতে চাইবে না বিসিসিআইয়ের বর্তমান প্রসাশনিক কমিটি। আপেক্ষিকভাবে এই বিষয়ে জোড় একটা গুজব ছড়িয়েছিল যে, জাতীয় দলের কোচ হতে চলেছেন দ্রাবিড়। কিন্তু এই সমস্ত কারণ বিশ্লেষণ করে প্রসাশনিক কমিটিও দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। হয়ত তারা ভারতীয় দলের এই ভারসাম্য না ভেঙে, অন্য কোনও সমাধান খুঁজছেন।