রোববার হায়দ্রাবাদের মাঠে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার চাক্ষুষ করলো আইপিএল দর্শকরা। চার নম্বর ট্রফি টা চেন্নাই এ নিয়ে যাওয়ার থেকে মাত্র একরান দুরে থমকে গেলো ধোনি বিগ্রেড। শুধু কাপ ফসকানোই নয় ,এবছর আইপিএলে মুম্বাই কে একটিও ম্যাচে হারাতে পারলো না তারা। বরং এদিনের জয়ের মধ্যে দিয়ে কাপ নিয়ে মুম্বাই ফিরলো রোহিতরা। এবছর রোহিত শর্মার দলের হয়ে কাপ জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাট হোক অথবা বলে, প্রায় প্রতি ম্যাচে দলের জন্য কিছু না কিছু করেছেন তিনি। টুর্নামেন্ট শেষ তার রান সংখ্যা ৪০২। যেখানে উইকেট নিয়েছেন ১৪ টি। স্বাভাবিক ভাবেই তার এমন আগুনে ফর্ম আগামী ৩০ শে মে থেকে শুরু হতে চলা বিশ্বকাপে ভারতকে এনে দেবে বাড়তি নিরাপত্তা এনে দেবে এমনটাই মনে করছেন তিনি। এদিন ফাইনালের পর হার্দিক জানান “দলের হয়ে চার নম্বর আইপিএল ট্রফি জয় এক অন্যরকম অনুভূতি, কিন্তু এইবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নিতে চাই আমি “।
প্রসঙ্গত, এইবার এই তারকা অলরাউন্ডার এবারের বিশ্বকাপে দেশের ভাগ্যা নির্ধারনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন তারকা দক্ষিন আফ্রিকার ক্রিকেটার জন্টি রোডস। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই দক্ষিন আফ্রিকার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রোডস জানিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার হতে চলেছে পান্ডিয়া।একদিকে দলের মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন তিনি, ঠিক তেমন দলের পেস এ্যাটাক কেও দিতে চলেছেন বাড়তি নিরাপত্তা। ব্যাট করতে নেমে তার দ্রুত পিচের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা দেশের জন্য একপ্রকার এ্যডভান্টেজ এমনটাই মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপে বিরাটদের একেবারেই মনে করছেন না রোডস।এবারের গোটা টুর্নামেন্ট টি হবে রাউন্ড – রবিন লিগ ফর্ম্যাটে।অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দশটি দেশ লড়াই করবে একে অপরের সাথে , অর্থাৎ প্রতিটি দল খেলবে নয়টি ম্যাচ। এমন লিগ ফর্ম্যাটে প্রথম চারে শেষ করা চারটি টিম অংশগ্রহণ করবে সেমিফাইনালে। আর এক্ষেত্রে ১৯৮৩ এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দেশকে ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না জন্টি।শুধু ভারত কেনো বরং কোনও নির্দিষ্ট দেশের নাম না দিয়ে সবার কাছে এই কাপ জেতার সমান সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করেন তিনি।
তার কথা অনুযায়ী ভারত যতোই তাদের সেরা পনেরো জনের দল নিয়ে নামুক না কেনো, এইবার তাদের ছাড়াও আর পাঁচ – ছয়টা দল আছে যাদের কাছে সমান সুযোগ আছে বিশ্বকাপ জয়ের।এবং তারাই শেষ অবধি ভালো করে দেখাতে পারবে যারা প্রতি ম্যাচে একটা ব্যালেন্স দল মাঠে নামাবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ ই জুন সাউথহাম্পটনে দক্ষিন আফ্রিকার বিপরীতে এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ভারত।এরপর ওভাল এবং নটিংহ্যামে বিরাটবাহিনী মুখোমুখি হবে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের।এবং এরপর ম্যান্চেষ্টারে ১৬ ই জুন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হতে চলেছে বিরাটরা।এছাড়াও পরবর্তী সময়ে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ( ২৭ শে জুন ), বাংলাদেশ ( ২ রা জুলাই(, শ্রীলঙ্কা ( ৬ ই জুলাই ) মুখোমুখি হবে ” মেন ইন ব্লু ” ।
একনজরে এবারের ভারতীয় ক্রিকেট দল :
বিরাট কোহলি (অধিনায়ক) রোহিত শর্মা(সহ অধিনায়ক), ধাওয়ান, রাহুল,বিজয় শংকর, কেদার যাদব,রবীন্দ্র জাদেজা,ধোনি, কার্তিক,কুলদীপ যাদব,চাহাল,ভুবনেশ্বর কুমার,বুমরাহ,হার্দিক পান্ডিয়া,মহম্মদ শামি।