বারেবার উপেক্ষিত হওয়ার দরুন মনের কোনে কোথায় যেনো জমে ছিলো একরাশ হতাশা অথবা অভিমান।এবং সেই থেকে হয়তো ক্রিকেট কেরিয়ারে হঠাৎ করেই ইতি টেনে দিলেন আম্বাতি রায়ডু।সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিলেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।তার এই সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কে।
এবছর বিশ্বকাপের দলে তার থাকা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন সকলে।এমনকি বহুল চর্চিত দলের ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে রায়ডুকে খেলতে দেওয়ার নিয়ে উঠেছিল জোড়ালো দাবি।এমনকি দেশের আপামর ক্রিকেট প্রেমীরা নিশ্চিত ছিলেন দলে রায়ডুর সুযোগ পাওয়া কে কেন্দ্র করে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে চমক দেয় নির্বাচকরা দলে বিজয় শংকর কে সুযোগ দিয়ে।রায়ডুর বদলে শঙ্করকে নেওয়ার অন্যতম কারন হিসেবে নির্বাচক প্রধান এম এস কে প্রসাদ জানিয়েছিলেন দলকে ” থ্রিডি ” নির্ভরতা দেবে শঙ্কর ।অর্থাৎ তার থেকে দারুন এক অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এর আশায় ছিলেন সকলে।কিন্তু তিনি কার্যত হতাশ করেছেন এবং পরবর্তী সময় চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে।
পরবর্তী সময়ে রায়ডুকে নিয়ে তীব্র চাপানোতর তৈরী হলে নির্বাচকরা বিশ্বকাপের অতিরিক্ত ক্রিকেটারের দলে রাখে।যদিও প্রথম পনেরো জনের দলে সুযোগ না পাওয়ায় খানিকটা হতাশ রায়ডু পরবর্তী সময়ে প্রসাদের ” থ্রিডি ” মন্তব্য কে উস্কে দিয়ে একটি তীর্যক টুইট করে।অর্থাৎ বোর্ডের সাথে তার একটা ঠান্ডা লড়াই লেগেই ছিলো।
রায়ডুর হতাশা পরবর্তী সময়ে দীর্ঘায়িত হয় যখন পরবর্তী সময়ে শিখর ধাওয়ান এবং বিজয় শঙ্কর চোট পেলেও তাকে সুযোগ না হয়ে বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পান ঋষভ পন্থ এবং মায়াঙ্ক অগ্রবাল।কার্যত এই উপেক্ষা থেকে যাওয়ার দরুন অবসর নিলেন রায়ডু এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
দেশের হয়ে ৫৫ টি ওয়ানডে এবং ৬ টি টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে দেখা গেছে রায়ডুকে।এবছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি শুধুমাত্র লিমিটেড ওভারের খেলায় মনোযোগ দেবেন বলে।এইবছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি।পাঁচ ইনিংসে ১৯০ রান করেছিলেন তিনি।যদিও পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এবং আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে তেমন বিষয়ে কিছু করে উঠতে পারেন নি তিনি।