ভারতীয় ক্রিকেট দল এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছে। এই সময় করোনার প্রকোপ রয়েছে সেখানে। এই কারণে ক্রিকেটের সমস্ত সিরিজগুলি খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিয়ে আয়োজিত করা হচ্ছে। যেখানে বায়ো বাবলের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। যার বাইরে যাওয়ার অনুমতি কোনো খেলোয়াড়েরই নেই। অস্ট্রেলিয়াতেও এই ধরণের বায়ো বাবলের মধ্যেই দুই দলই খেলছে।
ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপর উঠল বায়ো বাবল ভাঙার অভিযোগ
কিন্তু এসবের মধ্যে সিডনি টেস্ট ম্যাচের শুরুর আগেই ভারতীয় দলের কিছু খেলোয়াড়দের দ্বারা বায়ো বাবল ভাঙার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যারপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই ব্যাপারে অ্যাকশন নেওয়ার দাবী করছে। একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে ভারতীয় দলের ৫জন খেলোয়াড়ের বায়ো বাবলের নিয়ম ভেঙে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার কথা হচ্ছে। এই ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের উপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তদন্ত করার চাপ তৈরি করছে। কিন্তু এখনও বিসিসিআইয়ের তরফে তদন্ত নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি।
বিসিসিআইয়ের কাছে ভিডিওর তদন্ত করার দাবি
ভারতের পাঁচজন খেলোয়াড়, যার মধ্যে রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, শুভমান গিল আর নভদীপ সাইনির উপর অভিযোগ উঠেছে যে তাদের মেলবোর্নে বিবিকিউ রেস্তোরাঁয় দেখা গিয়েছে। এই ব্যাপারে একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যদিও খেলোয়াড়দের রাস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি নেই, কিন্তু এই সমস্ত খেলোয়াড়কে রেস্তোরাঁর ভেতর দেখা গিয়েছে। এখন বিসিসিআইয়ের উপর এই ভিডিওর তদন্ত করার চাপ বাড়ছে, কিন্তু বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিকের বয়ান সামনে এসেছে, যেখানে তিনি এটা বলছেন যে ভারতকে অস্থির করার জন্য এটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ষড়যন্ত্র হতে পারে। ওই আধিকারিকের নাম সামনে আসেনি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ভারতকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র
যদিও এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বিসিসিআইয়ের তরফে কোনো বয়ান আসেনি। কিন্তু বলা হচ্ছে যে পিটিআইকে এক বিসিসিআই অফিসিয়াল বয়ান দিয়েছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে, “খেলোয়াড়রা রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর বৃষ্টির কারণেই তারা ভেতরেই ঘেরাও হয়ে যান। যদি এটা ম্যাচের আগে টিমকে অস্থির করার একটা উপায় হয় তো এটা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দ্বারা ভীষণই খারাপ চাল। সবার আগে ওদের প্রতিক্ষিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় কথা হল আমার মনে হয় না যে এটার প্রতিকূল প্রভাব পড়তে পারে। না, বায়োবাবল প্রটোকলের কোনো উলঙ্ঘন করা হয়নি। ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মানুষ ঠিক রয়েছে। প্রটোকলের ব্যাপারে সকলেই জানেন। আমরা কেবল অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার একটি অংশ দ্বারা করা এটাকে একটা দুর্ভাবনাপূর্ণ বিষয় হিসেবেই বলতে পারি। আর এটা ওদের লজ্জাজনক হারের পর শুরু হয়েছে। যদি আমাদের খেলোয়াড়দের সিডনি টেস্টে খেলতে দেওয়া না হয় তো আমাদের কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে”।