২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ মাতানো বাঁহাতি পেসার রুদ্র প্রতাপ সিং মঙ্গলবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করে জানিয়ে দেন সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ৬ বছর সময় পার করা এই ক্রিকেটার খেলেছেন ৮২টি ম্যাচ। যদিও ২০১১ সালে তাঁর খেলা শেষ ম্যাচটিতে মনে রাখার মত পারফরম্যান্স করতে পারেননি।
তাঁর এই ছোট্ট ক্যারিয়ারের সেরা ৫টি পারফরম্যান্স একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
৫. ৪/৩৫, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০০৫ সাল, রাজকোট
একদিনের ক্রিকেটে তাঁর নিজের তৃতীয় ম্যাচে এই পেসার নিজেদের মাঠে কন্ডিশনের সুযোগ নিয়ে লঙ্কান শিবিরে একাই হানা দিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেন লঙ্কানদের ব্যাটিং অর্ডার। বল সুইং করানোর ক্ষেত্রে পারদর্শী এই বোলার একে একে থারাঙ্গা, আতাপাত্তু, চন্দনা ও মাহারুফকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নিতে বড় ভূমিকা রাখেন।
৪. ৪/৮৯, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ২০০৬ সাল, ফয়সালাবাদ

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেলেও ছিলেন অনিয়মিত। তবে ঐ সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁদের ঘরের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন এই বাঁহাতি। তাঁর অভিষেকের এই ম্যাচে জহির খানের মত বোলার যখন মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনিস খানের মত ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারছিলেন না তখন একাই ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন আর পি সিং।
৩. ৫/৫৯, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ২০০৭ সাল, লর্ডস

২০০৭ সালের ঐ সফরে লর্ডস টেস্টে ৯৭ রানের লিড নিয়ে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে আসলে বাঁহাতি এই পেসারের গতির কাছে ধরাশায়ী হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যনরা। তৎকালীন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ব্যাটিং স্তম্ভ মাইকেল ভন, কেভিন পিটারসেন, ইয়ান বেল এর মত ব্যাটসম্যানের উইকেট নেন তিনি। ইতোমধ্যেই সিরিজ খোয়ানো দলটি তখন শুধু চেয়েছিল ম্যাচটি যাতে ড্র হয়।
২. ৪/১৩, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ, ডারবান
দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠে তাঁদের বিপক্ষে এই ম্যাচ জিতলেই সেমি-ফাইনালে উঠে যাবে টিম ইন্ডিয়া। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে টিম ইন্ডিয়া জবাবে ব্যাট করতে নেমে গিভস, স্মিথ, পোলকের মত ব্যাটসম্যানদের আউট করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন আর পি সিং। তাঁর পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই সেমিতে উঠতে সক্ষম হয় ভারত।
১. ৪/৬৮, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ২০০৮ সাল, পার্থ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁদের মাটিতে পেস কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে টেস্ট ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন সিং। তরুণ ইশান্ত শর্মা যখন ঠিকমত লেন্থ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তখন দলের ত্রাতা হয়ে একাই মাইক হাসি। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের উইকেট সহ চার উইকেট নিয়ে দলকে জয় উপহার দেন পেসার।