দীনেশ কার্তিক এবং ভারতীয় মিডল অর্ডারের জন্য এই দিনটা ছিল ভয়ংঙ্কর। ধর্মশালায় এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৩ম্যাচের একদিনের সিরিজের প্রথম খেলায় শ্রীলঙ্কান পেসাররা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ৭ উইকেট মাত্র ২৯ রানেই তুলে নেন। ধর্মশালার পিচ জোরে বোলারদের সহায়ক হওয়ায় শ্রীলঙ্কার বোলিং অ্যাটাকে সুরঙ্গা লাকমল, জুয়ান প্রদীপ এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এই তিনজন মিলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল বের করে ভারতীয় দলকে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে ক্রিকেটের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড করতে বাধ্য করেন। শ্রীলঙ্কা পেসারদের আক্রমণে হোম দলকে না চাইতেই তাদের খারাপ ব্যাটিং প্রদর্শনের জন্য বেশ কিছু এমন রেকর্ডের সম্মুখীন হতে হয় যা কেউই করতে চাইবে না। ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক যিনি সম্প্রতি ভারতীয় দলে ফেরত এসেছেন, তিনি এমন একটি রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন যা কেউই করতে চাইবেন না।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নিজের নামে করেছেন তিনি। ভারতীয় মিডল অর্ডারে দীনেশ কার্তিক বেশ কিছু বল খেললেও পরিস্থিতি থেকে বেরতে পারেন নি। লাকমলের একটি দুরন্ত ডেলিভারিতে উইকেটের সামনে ধরা পড়েন তিনি। এবং মাঠে থাকা আম্পায়ার অতিথি দলের পক্ষে রায় দিতে কোনো রকমের সঙ্কোচ দেখান নি। এতদিন ভারতীয়দের এই রেকর্ড ছিল প্রাক্তণ খেলোয়াড় একনাথ সোলকরের দখলে যিনি ১৯৭৪ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শূন্য রানে আউট হয়ে এই রেকর্ডের অধিকারী হয়েছিলেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কাছে এই দিনটি বিস্মরণযোগ্য হিসেবেই থেকে যাবে।
একমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি কিছুটা লড়াই করেন, যার ফলেই ভারত ১০০ রানের গন্ডি পার করতে পারে। ভারতীয় টেল এন্ডারদের নিয়ে প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনি দলের স্কোরকে এমন জায়গায় নিয়ে যান যাতে বোলার অন্তত কিছুটা হলেও লড়াই করার জায়গা পান। ধোনিকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি দারুণ টাচে আছেন এবং তার ৬৫ রানের ইনিংসে তিনি বেশ কিছু এক্সেপশনাল শটও খেলেন। শ্রীলঙ্কান জোরে বোলাররা সঠিক জায়গায় বল রেখে পিচ থেকে ফায়দা তুলে পিচকে কথা বলান। ভারতীয় টপ অর্ডারকে ধ্বংস করে লাকমল চার উইকেট নেন অন্যদিকে প্রদীপ নুয়ানও কৃপন বোলিং করে দুই উইকেট নেন। ভারতীয় দলকে সম্মান জনক রানে পৌঁছতে ধোনির চেষ্টাকে নস্যাত করে ভারতীয় দল মাত্র ১১২ রানেই অলআউট হয়ে যায়।