বিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিব হিসেবে জয় শাহের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কি না, এই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে নানা টালবাহানা চলছে। করোনা অতিমারির জেরে রায়দানের প্রক্রিয়াও বারংবার পিছোচ্ছে। কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফ জানানো হয়েছিল, ৯ ডিসেম্বর সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এবার এই দুই ক্রিকেট প্রশাসককে নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত বুধবার দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোরদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চুড়ান্ত রায়দানের তারিখ পিছিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ এই রায়দান হবে। এদিকে এই দুই প্রশাসকের সাথে নিজের মেয়াদবৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিলেন যুগ্ম সচিব জয়েশ জর্জ। তার বিষয়েও একই সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর ফলে বড়সড় একটি প্রশ্ন সামনে চলে এল, এর ফলে কি আরও কয়েক দিনের জন্য কি সৌরভ এবং জয় শাহের মেয়াদ বাড়ল? আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিসিসিআই এর বার্ষিক সাধারণ সভায় কি থাকবেন তারা? যেহেতু এই রায়দানের প্রক্রিয়া পিছিয়েছে, তার ফলে আসন্ন বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকবেন সৌরভ গাঙ্গুলি, জয় শাহ এবং জয়েশ জর্জ। এবং নিজ নিজ পদাধিকার নিয়েই সভায় নিজেদের স্থান রাখবেন।
সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত লোধা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থায় সব মিলিয়ে যদি ছয় বছর পদে আসীন থাকেন কেউ, তাহলে ছয় বছর পূর্ণ হলে আগামী তিন বছর কুলিং অফ অর্থাৎ বিরতিতে যেতে হয় সেই ব্যক্তিকে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট এবং বিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছয় বছর অতিক্রম করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। অন্যদিকে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং বিসিসিআই এর সচিব হিসেবে ছয় বছর অতিক্রম করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। এর ফলে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে সৌরভ এবং জয়কে।
যদিও গত ২১ এপ্রিল বিসিসিআই এর তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোরদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বোর্ডে আবেদন করা হয় মেয়াদ বাড়ানোর। পরে গত ২২ জুলাই সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে।