ইংল্যান্ডের উদীয়মান ফাস্ট বোলার জোফ্রা আর্চারের বাউন্সারে গুরুতর চোট পেলেন স্টিভ স্মিথ।ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট অব্যাহত ছিলো আর্চারের।স্মিথকে চ্যালেন্জ ছুড়ে দেওয়ার আগেই নিয়েছিলেন দুই উইকেট।
৯২.৪ মাইল (149kmph) প্রতি ঘন্টার গতিতে ছোড়া আর্চারের সেই বাউন্সারে স্তম্ভিত হয়ে যায় মাঠে উপস্থিত সকল ক্রিকেটারেরা।এমনকি এমন বেপোরোয়া গতির বাউন্সারের সামনে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি ।সজোরে এসে তার হেলমেটে লাগে।এরপর বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই পড়েছিলেন তিনি।এরপর তিনি মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।সেই সময় তার নামের পাশে স্কোর ছিলো ৮০ ।
এদিন ম্যাচে নজরকাড়া পারফরম্যান্স ছিলো স্মিথের।বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে তার ব্যাটিং ছিলো দৃষ্টিনন্দন।ম্যাচে ২৪.১ ওভারের খেলা হওয়া এই ম্যাচে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিলো স্মিথের ব্যাটিং যা দর্শকদের মনোমুগ্ধ হয়েছে।শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিং ছাড়াতে যে বুদ্ধিদিপ্ততা দেখিয়েছে তা এক কথায় অনন্য।
কিন্ত সমস্যার সূত্রপাত হয় আর্চারের বোলিং করার সময়।এর আগে অবধি তার দৃষ্টি নন্দন ব্যাটিং মোহিত করেছে সকলকে।এমনকি এর আগের টেস্টে দুই ইনিংসে শতরান করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে এ্যসেজের প্রথম টেস্টে জয়লাভ করেছে অস্ট্রেলিয়া।এই ম্যাচেই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন স্টিভ স্মিথের।ইতিমধ্যে এ্যসেজের প্রথম টেস্টে জোড়া শতরান করেছেন তিনি , আর এই দুই শতরানের সুযোগ টেস্ট ক্রিকেটের রেকর্ড বুকে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন বিরাটকে।২৫ টি টেস্ট শতরানের মালিক স্মিথ এখন একই আসনে বসলেন বিরাট কোহলি এবং ইনজামাম উল হকের পাশে।
Steve Smith is up, and looks OK — thank heavens — but he won’t bat on. Walking off with the doctor. It doesn’t get much scarier than that. A standing ovation from the entire Lord’s crowd. Brutal battle. #Ashes pic.twitter.com/FCGPNiIWT0
— Sam Landsberger 🗯 (@SamLandsberger) August 17, 2019
গত ১৮ মাসে একটিও প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেনি, অথচ এ্যসেজের মতো এক ঐতিহ্যশালী সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জোড়া শতরান , এজন্য অবশ্যই সাধুবাদ প্রাপ্য প্রাক্তন এই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের।করে ফেললেন কেরিয়ারের ২৫ তম শতরান।এই মুহূর্তে মনে করা হচ্ছে কেরিয়ার শেষে পৌছে যেতে পারেন সর্বোচ্চ টেস্ট শতরান সংগ্রাহকের তালিকায় প্রথম স্থানে।
প্রসঙ্গত, একম্যাচে জোড়া শতরান করার পর এ্যসেজে’ র ইতিহাসে আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে এমন রেকর্ড গড়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন স্মিথ।তার আগে শেষ বারের মতো এই রেকর্ড গড়েছিলেন ম্যাথু হেডেন ২০০২ সালে।এমনকি বর্তমান দলের কোচিং স্টাফের সাথে যু্ক্ত স্টিভ ওয়া এই একই কৃতিত্ব অর্জন করেন ১৯৯৭ সালে।