এখন করোনা ভাইরাসের প্রভাব পুরো বিশ্বে বেড়েই চলেছে। এখনো পর্যন্ত বিশ্বে ১৪.৭ হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের রপাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ৩.৩৯ লাখ লোক এতে আক্রান্ত হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশে থাকা আর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের প্রাক্তন খেলোয়াড়ের বাবা এই খারাপ সময়ে ইরানে ফেঁসে রয়েছেন, যেখানে পরিস্থিতি অনেক বেশি খারাপ।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের প্রাক্তন খেলোয়াড়ের বাবা ইরানে ফাঁসলেন
পুরো বিশ্ব এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে। ভারতে এখন করোনা ভাইরাস থেকে ৫০০র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ৮জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বড়ো খবর আসছে যে মধ্যপ্রদেশের ক্রিএক্টার যিনি আইপিএলেও দু বছর খেলেছেন, যার নাম আনন্দ রঞ্জন তার বাবা এই খারাপ সময়ে ইরানে ফেঁসে রয়েছেন। যেখানকার পরিস্থিতি ভীষণই খারাপ। চিন আর ইটালির পর ইরানে পরিস্থিতি ভীষণই আশঙ্কাজনক। এখনো পর্যন্ত ইরানের মতো ছোটো দেশে ২৩ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অন্যদিকে ১৮০০জন মানুষ এই ভাইরাসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। যে কারণে এখন এই ক্রিকেটারের পুরো পরিবারকে অনেক বেশি সমস্যায় দেখা যাচ্ছে।
নিজের বাবার ব্যাপারে বললেন আনন্দ রঞ্জন
ভারত সরকার ইরান থেকে বেশকিছু মানুষকে ভারতে ফিরিয়ে এনেছে যারা ওখানে আটকে ছিলেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের প্রাক্তন খেলোয়াড় আনন্দ রঞ্জন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে,
“যেমনটা ভারত সরকার ইরান থেকে বেশকিছু মানুষকে ভারতে ফিরিয়ে এনেছেন। আমার আশা যে বাবাও ফিরে আসবেন। আমার বাবা আমাকে জানিয়েছেন যে ভারতীয় দূতাবাস কেবল সেই মানুষদের যাত্রা স্পষ্ট করবে যাদের মেডিকেল টেস্ট তারা স্বয়ং করেন। আমাকে জানানো হয়েছে যে এটা থেকে সমাধানের জন্য দূতাবাসের কাছে আবশ্যক মেডিকেল কিট নেই, এই কারণে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক বিমান যাওয়ার অনুমতি নেই, আমরা জানি না যে কী হবে”।
খেলা বন্ধ এখন এই সময়ে
ভাইরাসের প্রভাব খেলার জগতেও খারাপ প্রভাব পড়েছে। বেশকিছু বড়ো টুর্নামেন্টকে করোনার কারণে বন্ধ করতে হয়েছে। বেশকিছু খেলার উপরও এর অনেকবেশি প্রভাব পড়ছে। যার মধ্যে টেনিস আর ফুটবলের মতো খেলাও রয়েছে। আইপিএলের আলোচনা এখনো চলছে। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কাল একটা অনেক বড়ো মিটিং হওয়ায়ার কথা রয়েছে। আইপিএল এখনো পর্যন্ত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে।