আমি যখন খেলতাম, তখন রবি শাস্ত্রী খেলা দেখেননি : সৌরভ 1

 ভারতের অন্যতম সেরা টেস্ট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রবি শাস্ত্রীর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়।আর সেটা কমবেশি সবারই জানা।ক’দিন আগে ধোনির সীমিত ওভার ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শাস্ত্রী মাহিকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করে বসেন।প্রত্যক্ষভাবে না হলেও,পরোক্ষভাবে তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন।এর ক’দিন পর ফের একটা ক্রিকেট ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রবি শাস্ত্রী দেশের সেরা অধিনায়কদের তালিকা থেকে সৌরভকে বাদ দিয়ে শীর্ষে ধোনিকে বসিয়ে দেন।শাস্ত্রীর সেরা অধিনায়ক বাছা প্রসঙ্গ টেনে প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সৌরভকে একটি বাংলা কমেডি সিরিয়ালে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘বাপি বাড়ি যা’ ঢঙে উত্তরটি গ্যালারির বাইরে পাঠিয়ে বলে দেন, ‘যখন আমি খেলতাম, ওই সময় উনি আমার খেলা দেখেননি।’ পাশাপাশি তাঁকে রবি শাস্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান কোচ অনিল কুম্বলের মধ্যে মাকর্স দিতে বলা হলে সৌরভ শাস্ত্রীকে ১০-৭ এবং কুম্বলেকে ১০-৯ দেন।

শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সৌরভ!

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক থাকা কালিন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক শাহরুখ খানের সঙ্গেও সৌরভের খুব একটা ভালো সময় কাটেনি।আর তাই টিম মালিক হিসেবে মহারাজ নিজেকে ১০-১০ এবং শাহরুখ খানকে ১০-৬ দেন।এর কারণ হিসেবে স্পষ্টভাবে তিনি বলে দেন, ‘আমি নিজের দলের (এটিকে) ব্যাপারে একটুও হস্তক্ষেপ করি না।সবটাই ওদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। যেটা শাহরুখ করতেন না।একে দলে নাও, ওকে দলে নাও করতে থাকতেন।’

জাতীয় দলের নেতা হিসেবে ক্রিকেট জীবনের মজার কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে সৌরভ বলেন, ‘কোনও ম্যাচে আশিষ নেহরাকে বাদ দিলে, সেদিন রাতে এসে দরজায় কড়া নেড়ে সরাসরি দল থেকে তার বাদ দেওয়ার কারণ চাইতো।পরের ম্যাচে দলে রাখার কথা জানালেও, আশিষ তখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের শেষ সাতটা ম্যাচের স্ট্যাটিসটিকস তুলে ধরতো।যদি কুম্বলেকে বাদ দিতাম, ও তো বেশকিছুদিন কথাই বন্ধ করে দিত।ফের দু-চারদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যেত।’

বুকে তাক করাছিল বন্দুক, অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন সৌরভ!

ভিভিএস লক্ষ্ণণ প্রসঙ্গেও একটি মজার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোনও ম্যাচে ব্যাট করার আগে লক্ষ্ণণ ঠিক বাথরুমে চলে যেত স্নান করতে।দুই উইকেট হারিয়ে ক্রিজে শচীন-দ্রাবিড়রা ব্যাট করছে। ওরা কেউ আউট হলে লক্ষ্ণণকে যেতে হত। কিন্তু সে তো বাথরুমে।সত্যি বলতে, তখন ওর চেয়ে আমার বেশি প্যানিক হত।ওর স্নান করার মধ্যিখানে যদি কেউ আউট হয়ে যায়? যদিও ব্যাক আপ হিসেবে আমাকে ও প্যাড পরে বসে থাকতে বলতো।যাতে ওর অনুপস্থিতিতে আমি যেতে পারি।কিন্তু কোনওদিনই সে পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়নি।ও ঠিকই স্নান করে বেরিয়ে ব্যাট করতে যেত।’

https://www.youtube.com/watch?v=jjsRxBwaV3E

বাংলার জনপ্রিয় সেই টিভি সিরিয়ালে রাপিড ফায়ারে সৌরভকে বলা হয়, সাংবাদিক হলে গ্রেগ চ্যাপেলকে তিনি কি প্রশ্ন করতেন? উত্তরে সৌরভ বলেন, ‘আপনি এতো বোকা কেন? কোচের দায়িত্ব নিয়ে এসে কেউ সে দলের অধিনায়কের সঙ্গে ঝগড়া করে?’ শাহরুখকে কি প্রশ্ন করতেন? সৌরভ, ‘এতো এনার্জি কোথা থেকে পাও?’ ধোনিকে প্রশ্ন করতে হলে তিনি নাকি জানতে চাইতেন? উত্তরে, ‘এতো তাড়াতাড়ি গোঁফ দাড়ি কি করে পাকলো? আর সেই সুন্দর লম্বা চুলগুলো গেল কোথায়?’ একটু থেমে, উত্তরটা নিজেই দিয়ে বসলেন, ‘ ওর সব চুল উঠে গেছে। বিগত ৯ বছর ধরে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা খুব সহজ নয়, সেটাই তারই প্রমাণ।’ রাপিড ফায়ারে জন বুকাননের প্রসঙ্গ আসায়, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা এড়িয়ে নিজেকে শেষমেশ সেফ জোনে রাখলেন অফ সাইডের মহারাজ।

 

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *