বিসিসিআইয়ের হতে চলা সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী আর ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীর সম্পর্ক বহুদিন থেকেই ভালো নয়। বেশ কয়েকবার এই দুজনকে একে অপরের বিরুদ্ধে বলতে দেখা গেছে। দাদার পরবর্তী বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার ঘোষণার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে দারুণ ঠাট্টা হতে দেখা গেছে।
কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের মামলা
রবি শাস্ত্রীকে দ্বিতীয়বার কোচ করার জন্য সিএসির নিযুক্তি করা হয়েছিল। এই সিএসিতে কপিলদেব, অংশুমান গায়কোয়াড় আর শান্তা রঙ্গাস্বামী শামিল ছিলেন। কচের নিযুক্তির পর তাদের উপর কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ উঠেছিল। এখন তাদের উপর শুনানি চলছে আর তাদের উপর অভিযোগ প্রমানিত হতে রবি শাস্ত্রীর নির্বাচন প্রক্রিয়া আবারও করতে হবে। এখনো পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের লোকপাল ডিকে জৈন এটা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত শোনাননি।
দ্বিতীয়বার বাছতে হবে না
বিসিসিআইয়ের হতে চলা সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী আশা করেছেন যে রবি শাস্ত্রীর নিযুক্তি দ্বিতীয়বার করার প্রয়োজন পড়া উচিৎ না। এই ব্যাপারে পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দাদা বলেছেন যে,
“আমার মনে হয় না যে শাস্ত্রীর নির্বাচনকে বিপদে ফেলা হবে, আমার এটা বিশ্বাস নয়। এমনকী আমরা কোচের নির্বাচন তখনও কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের বিষয়টি যথেষ্ট উঠেছিল”।
আমি কারো বিরুদ্ধে নয়
সৌরভ গাঙ্গুলীর বক্তব্য যে তিনি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নন। যদি এথিকস আধিকারিক সিএসির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেন তো তাকে বিসিসিআইয়ের নিয়মের অনুসারে গিয়ে দ্বিতীয়বার কোচ বাছতে হবে। দাদা বলেছেন,
“সত্যি বলতে কি আমি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু ডব্লিউ.ভি রমণের নিযুক্তির মামলাতেও আমি বলেছিলাম যে বিসিসিআইয়ের সংবিধানে তদর্থ সিএসির জন্য কোনো জায়গা নেই। এইভাবে শাস্ত্রীর মামলাতেও যদি এথিকস আধিকারিক সিএসির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত শোনান তো বিসিসিআইয়ের নিয়মের মোতাবেক আমাদের দ্বিতীয়বার কোচ নির্বাচনের প্রক্রিয়া করতে হবে”।