বর্ডার গাওস্কার ট্রফির এখনও দুটি টেস্ট ম্যাচ বাকি। ১-০ তে পিছিয়ে থেকে, বেঙ্গালুরুতে অজিদের হাত থেকে কার্যত ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। রাঁচিতে তৃতীয় টেস্ট জিততে পারলেই বর্ডার গাওস্কার ট্রফির খেতাব অর্জন করার দিকে অনেকটা ধাপ এগিয়ে যাবে বিরাটরা। কিন্তু তার আগেই কোহলি পেলেন এক বিশাল খেতাব।
বিদেশের মাটিতে যে অধিনায়ক ভারতীয় ক্রিকেট দলকে জিততে শিখিয়েছে, তাঁর মুখেই শোনা গেল কোহলির জয়গান। অধিনায়কত্বের বিচারে নিজেকে কোহলির ধারে কাছেই আনলেন না ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বেঙ্গালুরু টেস্টের পর ভারতীয় এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেটের দাদা জানান, অধিনায়ক হিসেবে তিনি কোহলির অর্দ্ধেকও নন। মহারাজ বলেন, “ব্যাটসম্যান, ফিল্ডার ও অধিনায়ক হিসেবে কোহলি দূর্দান্ত। আমি অধিনায়ক হিসেবে ওর অর্দ্ধেকও নই। দলের খেলোয়ার থেকে শুরু করে মাঠে উপস্থিত দর্শকদের উদ্বেলিত করার ব্যাপারে ওর অবদান অসীম।”
প্রশংসার পাশাপাশি যোগ্য পূর্বসূরীর মত বিরাটকে সাবধান করতেও পিছপা হননি দাদা। রেনশকে টয়লেট বিরতি নিয়ে শ্লেজ করার ব্যাপারে কোহলিকে এমন উত্তেজক না হতেই সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। পাশাপাশি, স্মিথের ডিআরএস ঘটনার ব্যাপারে অবশ্য বিরাটকেই সমর্থন করলেন তিনি। সৌরভ বলেন, “আমার সঙ্গেও বহুবার এমন অনৈতিক কাজ হয়েছে। স্মিথকে হাতেনাতে ধরে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।”
বেঙ্গালুরুর টেস্টে, মাঠে উত্তেজনা ও শ্লেজিং নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলিকে একহাত নিয়েছেন প্রাক্তণ অজি উইকেটকিপার ইয়ান হিলি ও প্রাক্তণ অধিনায়ক স্টিভ ওয়া। স্টিভ ওয়া বলেন কোহলির এই নেতিবাচক মনোভাব ভারতীয় দলের ওপর প্রভাব ফেলবে। এদিকে, কোহলি তাঁর চোখে সম্মান হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন হিলি।
তবে এসব ঘটনাকে বিশেষ আমল দিতে চাননা মহারাজ। তিনি বলেন, “স্টিভ ওয়া বা হিলি কী বলল তা নিয়ে বিশেষ বিচলিত হবেনা কোহলি। মাঠের মধ্যে এধরনের বাক্য বিনিময় খুবই সামান্য ব্যপার। এনিয়ে বেশি জলঘোলা না করাই ভালো। আমিও অস্ট্রেলিয়ার মাঠে গিয়ে কম স্লেজিয়ের মুখোমুখি পড়িনি।”