মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সৌরভ গাঙ্গুলী উভয়ই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই জন সফল অধিনায়ক। গাঙ্গুলী ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতের ফিক্সিং সমস্যার ঠিক পরেই। যখন পুরো দল একটি খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল তিনি তখন পুরো দলকে আবারো গুছিয়েছিলেন। ধোনি অধিনায়কত্ব শুরু করার আগ পর্যন্ত সৌরভ গাঙ্গুলীই ছিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচাইতে সফল অধিনায়ক।
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিখ্যাত সিরিজ জয়ে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। কয়েক বছর পর ব্রিজবেনে তাঁর ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করতে পারে ভারত।
গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেটে সব সময়ই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বিদেশের মাটিতে ভারতকে সিরিজ জিততে পারার বিশ্বাস জুগানোর জন্য। তাঁর নেতৃত্বে ২০০০ সালে একটি নক আউট টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত। ওই বছর শিরোপা জিততে না পারলেও দুই বছর পর একই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় সৌরভ গাঙ্গুলীর দল। ২০০৩ সালে ভারতকে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেন ভারতের এই সফল অধিনায়ক। এরপর ২০০৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতে ভারত।
কয়েক বছর পর ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং তাঁর নেতৃত্ব অন্য এক উচ্চতায় পৌছে যায় দলটি। এখন পর্যন্ত ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দলকে আইসিসির সর্বোচ্চ তিনটি আসরেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ২০১১ সালে তাঁর নেতৃত্ব ২৮ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা পুনঃরুদ্ধার করে ভারত। এরপর ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০০৯ সালে ধোনির নেতৃত্বেই প্রথম বারের মত টেস্ট ক্রিকেটে শীর্ষ স্থান দখল করে ভারত।

এদিকে, সম্প্রতি স্পোর্টসকিডার সাথে এক সাক্ষাৎকারে উইকেটকরক্ষক ব্যাটসম্যান রবিন উথাপ্পাকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর চোখে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে কে সের অধিনায়ক। একটু হেঁসে নিজের সেরা অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই বেছে নেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, রবিন উথাপ্পা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন তাঁর প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। শেষ বারের মত রবিন উথাপ্পাকে ভারতের জার্সি গায়ে দেখা যায় ২০১৫ সালে।