বিসিসিআইয়ের নিয়মানুসার বিসিসিআইয়ের আধিকারি পদে থেকে কেউই এমন কোনো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন না, যার কোনো ভাবে ক্রিকেটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে। তবে বেশ কয়েকবার না জেনেই বিসিসিআইয়ের অধীনে কাজ করা আধিকারিকরা ক্রিকেটের অন্য গতিবিধির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, যে কারণে তাদের উপর কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ উঠে পড়ে।
সৌরভ গাঙ্গুলীর উপর উঠেছে কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী অক্টোবর মাসে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ সামলেছিলেন। তখন তিনি আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তিনি আরো একবার এই কারণেই ঝামেলায় ফেঁসেছেন। গাঙ্গুলীর উপর আরও একবার কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ করা হয়েছে। কারণ জেএসডব্লিউ স্পোর্টস আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকানার অংশ, যা জেএসডব্লিউ গ্রুপেরও অংশ। দিল্লি ক্যাপিটালসে এই গ্রুপের ছাড়াও জিএমআর গ্রুপেরও অংশীদারি আছে।
সৌরভ গাঙ্গুলী দিয়েছেন সাফাই
সান্ডে এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গাঙ্গুলী এই ব্যাপারে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না আমি এতে কীভাবে প্রভাবিত হতে পারি। আমি জেএসডব্লিউ স্পোর্টস যা আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকানার অংশীদার, তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর নই। আমার মনে হয় না যে সিমেন্ট কোম্পানি দিল্লি ক্যাপিটালস দলের প্রযোজক। আমি এতে কোনো বিরোধ দেখতে পাচ্ছি না। আমি ওদের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত নই। যদি আমি ওদের সঙ্গে যুক্ত না থাকি তো কীভাবে আমার উপর কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ লাগতে পারে”।
ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনারদের মধ্যে একজন গাঙ্গুলী
সৌরভ গাঙ্গুলীকে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড়ো ম্যাচ উইনারদের মধ্যে একজন মনে করা হত। তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বও করেছিলেন আর তার অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল ২০০৩ বিশ্বকাপের রানার্সআপও হয়েছিল। সৌরভ গাঙ্গুলী ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতীয় দলের হয়ে দশ হাজারেরও বেশি রান করেছেন। তিনি বর্তমানে বিসিসিআইয়ের সভাপতিও। ভারতের হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলীর কেরিয়ার যথেষ্ট ভালো থেকেছে।