ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ১৩তম মরশুম ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে, যা এর আগে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রকোপ এই টি-২০ লীগকে স্থগিত করে দিয়েছিল। যদিও টি-২০ বিশ্বকাপ বাতিল হওয়ার পর বিসিসিআই উইন্ডো পেয়ে যায় আর এখন তারা এই দুর্দান্ত লীগ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আইপিএল ২০২০ ইউএইতে হতে চলেছে। করোনা ভাইরাসের বিপদকে দেখে বিইসিসিআই আইপিএল নিয়ে বেশকিছু কড়া নিয়ম বানিয়েছে। বিসিসিআই এই নিয়মগুলির পালন করার জন্য SOPও জারি করে দিয়েছে।
এখানে দেখুন বিসিসিআই দ্বারা করোনা ভাইরাসের বিপদকে দেখে বানানো নিয়ম:
১. প্রত্যেক ফ্রেঞ্চাইজির মেডিকেল টিম এই বছর ১ মার্চ থেকে সমস্ত খেলোয়াড় আর সাপোর্ট স্টাফদের চিকিৎসা আর ট্র্যাভেল হিস্ট্রি হাসিল করবে আর রিপোর্ট বিসিসিআইকে দেবে।
২. ফ্রেঞ্চাইজিগুলির পছন্দের শহরে জড়ো হওয়ার আগে সমস্ত ভারতীয় খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের দুটি করোনা ভাইরাস টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
৩. খেলোয়াড়দের আর দলের সাপোর্ট স্টাফদের দ্বারা যে কোনো জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত প্রটোকলের উলঙ্ঘন করায় আইপিএলের আচার সংহিতার আইনে দণ্ডনীয় হবে।
৪. করোনা টেস্টে পজিটিভ এলে কোয়ারেন্টাইন করা হবে। ১৪দিনের সময় পূর্ণ হওয়ার পর আরও দু বার (২৪ ঘন্টার ব্যবধানে) করা হবে। দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে।
৫. এই নিয়মগুলি সমস্ত বিদেশী খেলোয়াড়দের আর সাপোর্ট স্টাফদের উপরও বলবৎ হবে।
৬. বিসিসিআইয়ের বর্তমান এসওপি অনুযায়ী ইউএই পৌঁছনোর পর খেলোয়াড়দের আর সহযোগী স্টাফের প্রথম, তৃতীয় আর ষষ্ঠ দিন করোনার পরীক্ষা করা হবে।
৭. এসওপি অনুযায়ী ইউএইতে পৌঁছনোর পর খেলোয়াড়দের আর সহযোগী স্টাফের প্রথম, তৃতীয় আর ষষ্ঠদিন পরীক্ষা করা হবে।
৮. আইপিএল ২০২০র পুরো টুর্নামেন্টের প্রত্যেক পাঁচদিনে করোনার পরীক্ষা করা হবে।
৯. সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজি দলগুলিকে আলাদা আলাদা হোটেলে রাখা হবে।
১০. প্রত্যেক সময় মাস্ক পড়া অনিবার্য।
১১. সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং প্রটোকলকে পালন করতে হবে।
১২.সকলেই নিজের নিজের রুমে খাবার আনাবেন, একই জায়গায় সকলে খেতে পারবেন না।