দিন কাটে একঝাঁক কর্মব্যস্ততার মাঝে।তা বলে দিনের শেষে নিজস্বতা বলেও তো কিছু থাকে।বাকী পাঁচজনের মতো তিনিও মজেছেন বিশ্বকাপ জ্বরে।ক্রিকেটের বিশ্বমহাড়নের যাবতীয় খবরাখবরের দিকে সমান নজর গুগুল সিইও সুন্দরম পিচাই।শুধু তাই নয় এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলবে কোন দুই দল, তাও জানালেন তিনি।
তার মতে এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে ভারত – ইংল্যান্ড।প্রসঙ্গত, এবারের প্রাক বিশ্বকাপ থেকেই ইংল্যান্ড দল নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে।মরগ্যানদের হাত ধরে অবশেষে বিশ্বকাপ জয়ের খরা কাটাবে ইংল্যান্ড, এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ তো হচ্ছেই,যা বাড়তি নির্ভরতা দিচ্ছে ইংল্যান্ড কে, অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আয়োজক দেশের একদিবসীয় ক্রিকেটে পারফরম্যান্স সেই সম্ভাবনা কে দৃঢ় করে তুলেছে।প্রত্যাশা মতোই এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সাউথ আফ্রিকাকে দাপটের সাথে হারানো, পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে হারের পরেও ম্যাচে দাপট বজায় রেখে বাংলাদেশ কে হারিয়েছে মর্গ্যানরা।গোটা টিমটার মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যালান্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বিরাটের ভারত, ১৯৮৩ এর স্মৃতি ফেরাবে এইবার অনেকেই এমনটা মনে করছে।ইংল্যান্ডের মতো ভারত ও এবারের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার।তা ইতিমধ্যে সাউথ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠিন প্রতিপক্ষ কে হারিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে বিরাটরা।শুরু থেকেই দারুন ছন্দ আছে তারা।পর পর দুই ম্যাচে দুই ওপেনার করেছে সেন্চুরি, ৫ ই জুন সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা ৯ ই জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শিখর ধাওয়ান , যদিও এই মুহূর্তে আঙুলে চোট লাগার দরুন এবারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন ধাওয়ান তিন সপ্তাহের জন্য।একধারে যেমন ব্যাটিং তেমন অন্যধারে দলের বোলিং ও সমান সমস্যায় ফেলছে বিপক্ষের তাবড় ব্যাটসম্যানদের যা অন্যতম মুখ যশপ্রীত বুমরাহ।
এদিন শুধু মাত্র দুই ফাইনালিস্ট ই নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও যে চমক দিতে পারে এমনটাই মনে করছেন পিচাই।প্রসঙ্গত, নটিংহ্যামে আজ যদি বৃষ্টির জন্য ম্যাচ না ভেস্তায় ,তাহলে ফের আরেকটা জমজমাট ম্যাচ দেখতে চলেছি আমরা।একদিকে সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ গুলোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচ জয়ের হ্যাটট্রিকের মুখে বিরাটরা অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান কে হারিয়ে পরপর চার ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে নামা নিউজিল্যান্ড।দুই দলের মধ্যে যে এক বিরাট পরিমাণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।যদিও দুই দলের শেষ সাক্ষাৎ এ শেষ হাসি হেসেছিলো কিউয়িরা।বিশ্বকাপের প্রাক্টিস ম্যাচে সেই দিন বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিরাটদের কোমড় ভেঙে দিয়েছিলো বোল্ট।