টি২০ ক্রিকেটের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন সোহেল তনবীর। পাকিস্তানের এই বাঁ হাতি পেসারের অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন এবং দুর্দান্ত ইয়র্কার ও স্লোয়ার ডেলিভারি মারার ক্ষমতার জেরে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে তিনি সর্বজনবিদিত। যদিও পাকিস্তানের জাতীয় দলে সুযোগ পান না, কিন্তু আজও একাধিক দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ লিগে নিজের জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন তনবীর।
নিজের সুদীর্ঘ কেরিয়ারে তনবীর একাধিক সুপারস্টার ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করেছেন, পেয়েছেন সফলতাও। কিন্তু একজন মহাতারকার কাছে বল করতে প্রচন্ড অস্বস্তিতে ভুগতেন এই পাক পেসার। আর তিনি হলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ক্রিকেটের মিস্টার ৩৬০ কে বল করতে প্রচন্ড অসুবিধা হত তনবীরের। আর সেই নিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি দিলেন এই অভিজ্ঞ বোলার।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তনবীর বলেছেন, “আমার কাছে সব থেকে কঠিন হিসেবে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে বল করতে লাগত। উনি হলেন মিস্টার ৩৬০ এবং উনি আপনাকে মাঠের যে কোনও দিকে মারতে পারবেন। আপনি ওনার বিরুদ্ধে কোনও পরিকল্পনা করতে পারবেন না কারণ আপনি ওনাকে যেখানেই বল করবেন উনি মারবেনই। যদি আমাকে কাউকে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি এবি ডি ভিলিয়ার্সকে বাছব সব থেকে কঠিন বল করার ক্ষেত্রে।”
এদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট কোহলিকে টপকে বাবর আজমকে এগিয়ে রেখেছেন তনবীর। যদিও বিরাটের শুরুর দিকের সময়ে তাকে বল করেছেন তনবীর, কিন্তু তিনি মনে করেন, বাবর আজমকে বল করা অনেক বেশি কঠিন। এই বিষয়ে সোহেল তনবীর বলেছেন, “যদি লাল বল কিংবা পাওয়ার প্লে এর কথা আসে, তাহলে আমি বলব বাবর আজমকে বল করা খুবই কঠিন। আমি বিরাট কোহলিকে ওনার শুরুর দিনগুলিতে বল করেছিলাম।”
যদিও এই মুহুর্তে জাতীয় দলের হয়ে একেবারেই সুযোগ পান না সোহেল তনবীর। শেষ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে। কিন্তু আজও আশা করে আছেন, আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সুযোগ পাবেন তিনি। এই নিয়ে সোহেল তনবীর বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য হল টি২০ বিশ্বকাপ খেলা। আমি এখনও আশাবাদী আর এখনও অনেক সময় রয়েছে। আগামী দিনে আরও অনেক ক্রিকেট আসতে চলেছে। টি২০ এর ক্ষেত্রে আমি প্রায় গোটা বিশ্বে খেলে চলেছি। উইকেটের দিক থেকে আমি সারা বিশ্বে পঞ্চম এবং পাকিস্তানে শীর্ষে রয়েছি। আর বয়সের দিক থেকে বলতে গেলে, আমাদের ওয়াহাব রিয়াজ এবং সোহেল খান রয়েছেন। আমি বলছি না যে ওনারা ওখানে থাকতে পারেন না, আমি শুধু এটাই বলতে চাইছি যে আমরা একই বয়সী। আমি গুণগত ক্রিকেটের খুবই বড় অনুরাগী।”