একটা ছোট্ট হঠকারি সিদ্ধান্তই দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার গোটা ভাগ্যটা বদলে দিল। শন মার্সের এই হঠকারি সিদ্ধান্তই অস্ট্রেলিয়ান গ্রাণ্ড ড্রামার অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্সটা রচনা করল।
কীভাবে রচিত হল সেই ক্লাইমাক্স? চতুর্থ দিনের ১৫ ওভারের খেলা চলছে। অস্ট্রেলিয়ার জেতার জন্য তখনও দরকার ১২১ রান, হাতে ৮টি উইকেট। ক্রিজে তখন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও শন মার্স। উমেশ যাদবের একটি বল এসে লাগে শন মার্সের পায়ে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ বলে আউট দেন। মার্স স্মিথকে ইশারা করে জিজ্ঞাসা করেন ডিআরএস নেবেন কি না। স্মিথের ইশারা বুঝতে না পেরেই প্যাভেলিয়নের দিকে হাটতে শুরু করে মার্স। স্মিথও ভাবে নিজের আউট নিশ্চিত ভেবেই হয়তো প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটছে মার্স। তাই তিনিও রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেননি। রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি স্টাম্পের বাইরের দিকে যাচ্ছিল।
টুইটারের মাধ্যমে ঘোষণা করলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, বিরাট আজ অবসর নেবে
ম্যাচ শেষে স্টিভ স্মিথ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘ আমারা এই আউট নিয়ে খুব একটা নিশ্চিত ছিলাম না। আমি মার্সকে রিভিউ নিতে বলছিলাম। কিন্তু ও আমার ইশারা না বুঝতে পেরেই মাঠের বাইরে যেতে শুরু করে। নাহলে আমি রিভিউ নিতাম ঠিকই।’ শন মার্স ও স্টিভ স্মিথের পর কার্যত তাসের ঘরের মত অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পরতে থাকে। এই ভুল বোঝাবুঝি ও হঠকারি সিদ্ধান্ত না নিলে হয়তো আজকের শেষ হাসিটা স্টিভ স্মিথ এন্ড কোম্পানীই হাসতেন।
ভিডিও – বিধিভঙ্গ করে রিভিউ নিতে যান স্মিথ, তাতেই ক্ষেপে গিয়ে তেড়ে যান বিরাট!