মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেক হওয়া তরুণ ক্রিকেটার শুভমান গিলকে গোটা সিরিজেই মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের মতো তারকা পেস বোলারের বিপক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছে। শুভমান কেবল এই বোলারদের দৃঢ়তার মুখোমুখিই হননি, প্রতি ইনিংসে তিনি অসি বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মকভাবে খেলতেও হাজির হয়েছেন। ব্রিসবেন টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৯১ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব তাঁর প্রশংসা করতে বাধ্য করেছিল।
আর এবার অস্ট্রেলিয়ায় নিজের সাফল্যের কৃতিত্ব পাঞ্জাবের এই তরুণ ব্যাটসম্যান দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিংকে। এই নিয়ে জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাথে সাক্ষাৎকারে শুভমান গিল জানিয়েছেন, আইপিএল এর আগে যুবরাজ সিংয়ের সাথে একটি বিশেষ ক্যাম্প সেরেছিলেন এবং তাঁর জেরে তিনি শর্ট বল খেলার সাহস ও ক্ষমতা পেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় সাফল্যের জন্য যুবরাজ সিংকে কৃতিত্ব জানিয়ে শুভমান বলেছেন, “আইপিএলের আগে যুবি পাজির (যুবরাজ সিং) সাথে ক্যাম্পটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ক্যাম্পের সময়, কিভাবে চিন মিউজিক বোলিংয়ের মুখোমুখি হতে পারি সে জন্য আমাকে প্রস্তুত করেছিল। তিনি বিভিন্ন কোণ থেকে আমার কাছে ১০০টিরও বেশি শট পিচ বল করতেন এবং আমি মনে করি এটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।” যুবরাজ সিং ও শুভমান গিল একসাথে পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন এবং প্রায়শই যুবরাজকে দেখা যায় যে তিনি শুভমনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এদিকে অভিষেকের সময় শুরুতে কিছুটা চিন্তায় ছিলেন তরুণ এই ওপেনার। কিন্তু এই মুহুর্তে বেশ স্বস্তিতে রয়েছেন গিল। এছাড়া এই সিরিজ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলেও মনে করেন শুভমন। এই নিয়ে সাক্ষাৎকারে শুভমন গিল বলেছেন, “আমি এখন খুব স্বস্তি বোধ করছি। ভারতের হয়ে টেস্টে অভিষেক হওয়া আমার পক্ষে এক বিরাট স্বস্তি। আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, তবে প্রতি ইনিংসের পরে আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।”
কয়েকদিন আগে ব্রিসবেনে চতুর্থ ইনিংসে শতরান হাতছাড়া করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন শুভমন গিলের বাবা। সে বিষয়ে একমত হয়ে তিনি বলেছেন, “একটি শতরান পূর্ণ করা আমার পক্ষে বড় অর্জন হতে পারত। আমি মোটামুটি ভাল সেট ছিলাম এবং আমার একটি সেঞ্চুরি পূর্ণ করা উচিত ছিল, তবে আমি দলের জয়ের জন্য যে অবদান রেখেছিলাম সেই নিয়ে আমি খুশি। আমি এই সিরিজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং আমি একজন ভাল ক্রিকেটার হয়েছি। আমার পরবর্তী লক্ষ্য এই স্তরে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি আমার পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখন আমার পরিচয় গোপন নেই। জেমস অ্যান্ডারসন, জোফ্রা আর্চার এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো বোলারদের মোকাবেলা করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।”