ধোনির কাছ থেকে কি আশা করা যেতে পারে তা শুধু সারা বিশ্বই নয় তাদের প্রতিপক্ষরাও বুঝতে পারে না। ধোনি যে কতটা কুল এবং এবং শান্ত স্বভাবের তা বোঝা যায় ২০০৫ এ পাকিস্থানের বিরুদ্ধে তার অসাধারণ ১৪৮ রানের ইনিংসটি দেখলে। ওই ম্যাচে ধোনিকে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। সেই সময় ভারতীয় দলে ধোনি নতুন এবং ভয়ংঙ্কর চাপের মধ্যে ছিলেন ক্রমাগত রান করতে না পারায়। সেই সময় ধোনি ভারত পাকিস্থান ম্যাচের উত্তেজনা ভালই বুঝতে পারছিলেন যখন শাহিদ আফ্রিদি তার উপর চেপে বসার চেষ্টা করছিলেন। এই ভারতীয় উইকেট কীপার ব্যাটসম্যান একটি সুন্দর ইনসাইড আউট শট মারেন তারই ফলশ্রুতিতে পাকিস্থানী স্টলওয়ার্ট আফ্রিদি তাকে মৌখিক জবাব দেন খুবই খারাপ ভাষায়। পরিবর্তে ধোনি একটা হাসি ছুঁড়ে দেন তার দিকে, সেই হাসি যা আগামিদিনে তার চরিত্রকে সংজ্ঞায়িত করতে চলেছিল। আর তারপরে ধোনি তার খেলাকে অবিশ্বাস্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তার আগমনের ঘোষণা করেছিলেন অবিশ্বাস্য শান্ততায়। নিজের পঞ্চম ওয়ান ডে খেলতে নামা ধোনি সেই ম্যাচে নিজের ব্যাটিং দক্ষতায় তার ভয়ঙ্কর ব্যাটিং পার্টনার বীরেন্দ্র সেওবাগকেও ঢেকে দিয়েছিলেন।
মাত্র ৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর পুরো পরিস্থিতিটাই ধোনি সামলে নেন। এবং নিজের ফর্মে ফিরে নিজের প্রথম বিস্ফোরক ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করেন। ওই ম্যাচে ধোনি ১৫টি চার এবং চারটি বিশাল চক্কার সাহায্য মাত্র ১২৩ বলে ১৪৮ রান করেন। আফ্রিদি, যিনি শুরুতেই ধোনিকে বিরক্ত করার চেষ্টা করে ধোনির মনোসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন, দ্রুতই তার ব্যবহারের শাস্তি পান এবং সেই ম্যাচে ৯ ওভারে তিনি ৮২ রান দেন। ওই ম্যাচে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫৬ রান করে এবং ৫৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্থান কে ৪৫ ওভারে ২৯৮ রানে আউট করে। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে ওই ম্যাচে ধোনির এই ইনিংস চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ইনিংসের পরেই ওই ম্যাচে ধোনি ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও পান।