ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী তথা সচিব জয় শাহের জন্য স্বস্তিত খবর সামনে এসেছে। আসলে সৌরভ গাঙ্গুলী আর জয় শাহের পদে বজায় থাকার বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানিকে উচ্চতম আদালত অনিশ্চিতকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে। এই অবস্থায় সৌরভ গাঙ্গুলী তথা জয় শাহ ততদিন পর্যন্ত নিজেদের পদে থাকবেন যতদিন সুপ্রিম কোর্টের কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত না আসে।
অনিশ্চিতকালের জন্য স্থগিত শুনানি
২২ জুলাই করোনার কারণে শুনানি না হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট এই দুজনের ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’-এর মামলা পরবর্তী শুনানি ১৭ আগষ্ট হওয়ার ছিল, কিন্তু কোর্ট এই শুনানিকে অনিশ্চিতকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে। শীর্ষ পরিষদের সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত এই দুজনে নিজেদের পদে বজায় থাকবেন। এই অবস্থায় যখন বিসিসিআইকে ১৮ আগষ্ট আইপিএলের নতুন স্পনসরের ঘোষণা করতে হবে, তখন যদি সৌরভ গাঙ্গুলী আর জয় শাহের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয় তো এই দুজনের পাশাপাশি বিসিসিআইয়ের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে।
সৌরভ গাঙ্গুলীর পদে বজায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন
সৌরভ গাঙ্গুলীর পদে বজায় থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। নিজেকে ঝাড়খন্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য আর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ ঝাড়খন্ডের কোষাধক্ষ্য দাবী করা নরেশ মকানি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী আর সচিব জয় শাহের সঙ্গে বোর্ডের লোকপান ডিকে জৈনকেও কাঠগড়ার দাঁড় করিয়েছেন। মাকানির বক্তব্য অনুযায়ী, সৌরভ গাঙ্গুলী আর জয় শাহের এখনও পদে বজায় থাকা বিসিসিআইয়ের নতুন সংবিধান বিরুদ্ধ।
মকানি সৌরভ আর জয় শাহের বিরুদ্ধে করেছিলেন অভিযোগ
আপনাদের জানিয়ে দিই যে আগেই সুপ্রিম কোর্টে গাঙ্গুলী আর জয় শাহের পদে বজায় থাকার বিরুদ্ধে মকানি আবেদন করেছিলেন। মকানি নিজের অভিযোগে লিখেছিলেন যে,
“বিসিসিআইয়ের নতুন সংবিধান অনুযায়ী বোর্ডের সভাপতি আর সচিবের এখনও পর্যন্ত নিজেদের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিৎ ছিল। শাহ তো নিজের পদে সময়ের চেয়ে যথেষ্ট বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েশনের আধিকারিক থেকে জয় পাঁচ বছর সময় কাটিয়েছেন, এরপর তিনি বিসিসিআইয়ের সচিবও হয়েছে। এই অবস্থায় উনি একজন আধিকারিক হিসেবে মোট ছ’ বছর পূর্ণ করে ফেলেছেন। এমনটা গাঙ্গুলীর ক্ষেত্রেও। সৌরভ গাঙ্গুলী আগেই নিজের সময় পূর্ণ করে ফেলেছেন আর তিনি এখনও বিসিসিআইয়ের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। এই অবস্থায় তাঁর এখন তো আইপিএলের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। এটা বিসিসিআইয়ের সংবিধান বিরুদ্ধ’।