ভারতের কাছে হারের পর থেকে দেশ জুড়ে উঠেছে তীব্র নিন্দার ঝড়।সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোয় একের পর এক ট্রোলের মুখোমুখি হচ্ছে সরফরাজ ও তার দল।ইতিমধ্যে তার দলের বিরুদ্ধে উঠেছে নানান প্রশ্ন।অথচ বিশ্বকাপের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথম বার তারাই ইংল্যান্ডে এসে হাজির হয়েছিলেন।হয়তো অশনিসংকেত টা তখনই পেয়েছিলো সরফরাজরা।প্রথমে টি টোয়েন্টি এরপর একদিবসীয় সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে হার।টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে এমন সতর্কীকরণ পাওয়া সত্বেও কেনো নিজেদের শুধরে নিলো না সরফরাজরা ? প্রশ্ন থেকেই যায়।
টুর্নামেন্টের শুরুতেই ধাক্কা।প্রথম ম্যাচে বিধ্বস্ত হার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কাছে।এরপর হঠাৎই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কামব্যাক।ম্যাচের পর ফের আরেকবার পাকিস্তানকে ভয় পাওয়ার বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি।দেশ ১৯৯২ এর বিশ্বকাপের জয়ের পথ ধরে চলছে,বিষয়টি সরফরাজকে খোশ মেজাজে রাখলেও আরও একটা বিষয় ও বোধহয় বেমালুম ভুলে গেছিলো যে এই বিশ্বকাপেই প্রথম বারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল ভারত – পাকিস্তান।পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরানের হাত ধরে সেই প্রথম বার বিশ্বকাপের মন্চে ভারতের কাছে হারের স্বাদ উপভোগ করেছিল পাক।এরপর বছরের পর বছর বিশ্বকাপ আসলে এই হার তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে এদেশ।
এবারও তার অনধ্যায় হয়নি।বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ অবধি ৮৯ রানে হার।বিশ্বকাপে স্কোর লাইনটা ৭-০ করে নিলো ভারত।টসে জিতে এইদিন শুরুতে বিরাটদের ব্যাটিং করতে পাঠায় সরফরাজ।প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারের মতে এ একেবারে নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।
এদিন ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রোহিত শর্মা।শুরু থেকে পাক বোলারদের বেধড়ক পেটানো শুরু করেন তিনি।খেলেন ১১৩ বলে ১৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস।প্রসঙ্গত , এইটাই রোহিতের কেরিয়ারে ২৪ তম একদিবসীয় শতরান।এদিন রোহিত কে ওপেন করতে নেমে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন কে এল রাহুল।চোটের জন্য শিখর ধাওয়ান দলের বাইরে যাওয়ায় এই ম্যাচে ওপেনে সুযোগ পান রাহুল।এবং সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করলেন রাহুল,খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস।রাহুল এবং রোহিত প্রথম উইকেটে যোগ করেছিলেন ১৩৬ ।এছাড়াও ৬৫ বলে ৭৭ করেন বিরাট।এর জেরে ৫০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর দাড়ায় ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৬ ।সেই লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে ৪০ ওভারে ২১২ রান করেন তোলে পাক দল, এবং শেষে ডি এল পদ্ধতিতে ৮৯ রানে পরাজিত হয় ভারতের কাছে।
ম্যাচ হারের পর হারের খানিকটা দায় সতীর্থের উপর দিয়ে দিতে চান সরফরাজ।ম্যাচ হারের পর সরাসরি দলের বাকী সদস্যদের সতর্ক বার্তা দিলেন তিনি।বলেন দেশে একা তিনি ফিরবেন না, বাকীরাও ফিরবেন।সুতরাং রূষ্ট দেশের মানুষের মুখোমুখি তিনি একা হবেন না।তাই নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে আর বাকী চার ম্যাচ জেতার জন্য ঝাপিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।