অল্প বয়সেই চলে গেলেন সিনেমা জগতের এক অতি পরিচিত নক্ষত্র। মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সেই প্রয়াত কন্নড় চলচ্চিত্রাভিনেতা ধ্রুব শর্মা। সিনেমাতে আসার আগে পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন। সিনেমার পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলতেন। চলচ্চিত্র অভিনেতাদের নিয়ে আইপিএলের ধাঁচে হওয়া টুর্নামেন্ট সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে নিয়মিত অংশ নিতেন তাঁর রাজ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্নাটকা বুল্ডোজার্সের হয়ে। মঙ্গলবার ভোররাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হার্ট-অ্য়াটাক ও শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে ধ্রুব মারা যান।
ধ্রুবের অকাল মৃত্য়ুতে গভীর শোকাহত তাঁর বন্ধু-বান্ধব ও চলচ্চিত্র জগতের সহকর্মীরা। সেই সঙ্গে আশ্চর্যও। কোনও গুরুতর অসুখে ভুগছিলেন এমনটাও নয়। শনিবার নিজের বাড়িতে হঠাৎই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ধ্রুব। আচমকা অসুস্থ হয় পড়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। তারপর তাঁকে বেঙ্গালুরুর কলম্বিয়া-এশিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শেষ নি:শ্বাস ত্য়াগ করেন এই অভিনেতা।
ধ্রুবের বাবা সুরেশ শর্মাও অভিনেতা। সেই সঙ্গে ব্য়বসাও সামলান। ২০০৬ সালে স্নেহাঞ্জলি সিনেমার মাধ্য়মে কন্নড় সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন ধ্রুব। এই দক্ষ অভিনেতাটি প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন। জিতে নেন সবার মন। ছোটো থেকেই কথা বলা ও শোনার সমস্যা ছিল ধ্রুবের। এরকম একজন মানুষকে লিড রোলে অভিনয় করতে দেখে সিনেমাটি সমালোচকদের প্রশংসা আদায় করে নেয়। গিনেস বুক ও লিমকা রেকর্ড বুকেও সিনেমাটির নাম রয়েছে।
সিনেমা জগতে প্রবেশ করার আগে বোবা-কালাদের ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলতেন। ২০০৫ সালে ভারতের বোবা-কালা ক্রিকেট দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেন ধ্রুব। তবে, ঘরে ঘরে তাঁর নামটা ছড়িয়ে পড়ে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে পারফরমেল্সের জন্য। স্য়ান্ডালউড দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন কর্নাটকা বুল্ডোজার্সের হয়ে খেলার আগে। কর্নাটকা বুল্ডোজার্স দু’বার সিসিএলে চ্য়াম্পিয়ন হয়েছেন। দু’বারই ধ্রুব দলের সদস্য় ছিলেন এবং জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।
ধ্রুবের মৃত্য়ুতে শোকাহত বলিউড অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ ট্য়ুইট করেন, ”খবরটা পেয়ে অত্য়ন্ত ব্যথিত। কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমার প্রিয় ধ্রুব ভাই, তোমার অভাব সারা জীবন বোধ করব। তোমার ভালোবাসার জন্য ধন্য়বাদ।”
অভিনেত্রী প্রিয়মনি ট্য়ুইট করেছেন, ”ওরম একটা গুনি মানুষ আর নেই বিশ্বাস করতে পারছি না। ধ্রুব শর্মা তোমার শূন্য়তা অনুভূত হবে। ”