ক্রিকেটে থার্ড আম্পায়ার আসার পর থেকেই রান আউট, এলবিডব্লু সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন তো জুনিয়র স্তরেও থার্ড আম্পায়ার নিযুক্ত থাকেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ইংল্যান্ডে চলতে থাকা মহিলাদের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ছিলেন না কোনও থার্ড আম্পায়ার। পাশাপাশি সে ম্যাচটি টিভিতেও দেখানো হয়নি। যার খেসারত দিতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। এই নিয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। উল্লেখ্য, এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৭.৫ ওভারে ২০৪ রান করে। জবাবে অজিরা ৩৮.১ ওভারে, দুটি উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২০৫ রান তুলে নেয়।
ওই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহিলা দলের ব্যাটসম্যান চিদিয়ান নেসন একটি বল খেলেই রান নিতে ছোটেন। কিন্তু উল্টো দিকে পৌঁছনোর কিছুটা আগেই ফিল্ডারের ছোঁড়া বল ধরে উইকেট ভেঙে দেন অজি উইকেটরক্ষক। অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরা আউটের আবেদন করেন। মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার অবশ্য নেসনকে নট-আউট ঘোষণা করেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান অজি ক্রিকেটাররা। ম্যাচে কোনও থার্ড-আম্পায়ার ছিল না। ফলে বেঁচে যান নেসন। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, থার্ড আম্পায়ার থাকলে নিশ্চিতভাবেই আউট দেওয়া হত ক্যারিবিয়ান মহিলা ব্যাটসম্যানটিকে। যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন, নেসনের রান ছিল মাত্র ২। ‘জীবন’ ফিরে পেয়ে তিনি ৩৯ রান করেন। যা দলকে ২০৪ রানে পৌঁছতে সাহায্য করে।
Not out was the call here… #WWC17 #AUSvWI pic.twitter.com/ZfnGrhQTYl
— cricket.com.au (@cricketcomau) June 26, 2017
রান আউট নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের অফিসিয়াল টু্ইটারে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেখানে নেসনের ছবিটি সহ লেখা হয়েছে, ‘এটিও আউট দেওয়া হয়নি।’ যদিও ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তা না হলে, হয়তো অজিরা এই নিয়ে আরও বড় প্রতিবাদের রাস্তায় যেত। এই ঘটনাটি কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এখন অনেক জায়গাতেই জুনিয়র স্তরের ক্রিকেটে থার্ড আম্পায়ার রাখা হয়, তখন আইসিসির বিশ্বকাপের মত মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাতে কেন থার্ড আম্পায়ার রাখা হয়নি? আর সেই ব্যাপারটা সংশ্লিষ্ট অনান্যদের নজরই বা কি করে এড়িয়ে গেল? এটা সবাই জানে যে, একটা আউটও যে কোনও ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে।
<
একদিকে আইসিসি যখন মহিলাদের বিশ্বকাপে ডিআরএস পদ্ধতি চালু করেছে. তখন এই ধরনের ভুল নিশ্চিতভাবেই অস্বস্তিতে ফেলবে আইসিসিকে। আবার মহিলাদের বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচই টিভিতে সরাসরি দেখানো হচ্ছে না। ফলে এমনিতেই এই ম্যাচগুলিতে বিতর্কিত ঘটনা কিছু ঘটছে কি না, তাও সকলের চোখে পড়ছে না।