ব্যাটিং অর্ডারের খানিকটা উপরে ব্যাট করতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন নাইটরাইডার্সের তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। গত ১৯ শে এপ্রিল ,ইডেনে ফের উঠেছিল ” রাসেল ঝড় ” , দর্শকদের মন জয় করলেও এদিন ম্যাচে জয় পায়নি কলকাতা ।বরং ফের আরেকটি উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচের সাক্ষী থাকলো ইডেন। আরসিবি ” র দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে ২১০ এ থেমে যায় নাইটরা।এদিন ফের জ্বলে ওঠে রাসেল । কলকাতার নাগালের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ কে জেতার সম্ভাবনায় পরিনত করেন তিনি ।
বিধ্বংসী ২৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে।ইনিংসে রয়েছে ২ টি চার এবং ৯ টি ছয়। অন্যদিকে ভালো খেলেছেন নীতিশ রানা, খেলেন ঝোড়ো ৪৬ বলে ৮৫ রানের ইনিংস ।দলের প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানেরা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে ম্যাচটা কেকেআরের পক্ষে যেতেই পারতো।ম্যাচ জেতার জন্য শেষ ওভারে কলকাতার প্রয়োজন ছিল ২৪ রান।মইন আলীর করা শেষ ওভারে জয়ের থেকে মাত্র ১০ রান দুরে থমকে যায় নাইটরা।এদিনের জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টুর্নামেন্টে টিকে থাকলো বিরাটরা।
ম্যাচ শেষে কার্যত হতাশ রাসেল বলেন দলের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার মূল্য দিতে হলো তাদের।শুধু তাই নয় এদিন পরবর্তী ম্যাচ গুলি থেকে প্রথম চারে ব্যাটিং করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন এই জামাইকান তারকা অলরাউন্ডার।এর পর থেকেই রাসেলের দলের প্রথম দিকে ব্যাট করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রশ্ন।এমনকি সম্প্রতি একটি ম্যাচের পর খোদ নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক কে একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।দলের প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানরা যখন চেনা ছন্দে একেবারে ধারেকাছে নেই, তখন কেনো রাসেলকে সূযোগ দেওয়া হচ্ছে না উপরের দিকে ? প্রশ্নের জবাবে একেবারে অন্য কথা শোনা গেছিলো দীনেশ কার্তিকের মুখে।
তিনি বলেন নিজের ব্যাটিং অর্ডারে খুশি রাসেল, অথচ রাসেল বলছেন আরেক কথা ঠিক এইরকম একটি মুহূর্তে নাইট কোচ কালিস কে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই বিষয়ে।দলের বাকী ব্যাটসম্যান যখন তেমন কিছু করে উঠতে পারছে না তখন রাসেল কে কেনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না প্রথম দিকে ব্যাট করার ? প্রসঙ্গত, এবছর কলকাতার হয়ে যদি প্রতি ম্যাচে নিজের ধারাবাহিকতা কেউ বজায় রাখেন তিনি হলেন রাসেল।চলতি মরশুমে ৬৫.৩৩ গড়ে ৩৯২ রান করেছেন এই জামাইকান অলরাউন্ডার, বল হাতে পালন করছেন কার্যকর ভূমিকা তাহলে কেনো এত পরে ক্রিজে রাসেল ?
জবাবে কালিস বলেন পরবর্তী ম্যাচ গুলিতে দলের প্রয়োজনে প্রথম দিকে ব্যাট করতেই পারেন রাসেল, অর্থাৎ সামনের ম্যাচ গুলিতে আমরা রাসেল কে প্রথম চারে দেখতেই পারি।প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে পরপর পাঁচ ম্যাচ হেরে এবছর প্লে অফে যাওয়ার আশা ক্রমশ কমে এসেছে নাইটদের।শেষ ম্যাচে তারা হেরেছিল হায়দ্রাবাদের কাছে।ম্যাচের পর কলকাতা কে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করে তুলতে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক এবং দুই বার কলকাতা কে আইপিএল এনে দেওয়া অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর।
টুইট করে কলকাতার ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, ড্রেসিং রুমে প্রতিভার অভাব নেই, শুধু ভরসা করতে হবে নিজের, এবং সর্বশক্তি দিয়ে ম্যাচ জয়ের লক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।” আমরাও পারি ” ! এই বিশ্বাসটা রাখতেই হবে। গম্ভীর বানীতে ঠিক কতটা উজ্জীবিত হয়েছে কলকাতা তার প্রমান পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বৃহস্পতিবার ইডেনে রাজস্থান রয়্যালস এর মুখোমুখি হওয়া অবধি।