আগেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে থাকবেন না রোহিত শর্মা। কিন্তু চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তারকা এই ওপেনার খেলতে পারবেন কি না, সে নিয়ে প্রচুর জল্পনা গড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। গত এক মাসে রোহিত শর্মার চোট নিয়ে হয়ত সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছিল। এই মুহুর্তে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে চোটের রিহ্যাব করছেন রোহিত।
কিন্তু শুধু পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারানোর কাজই সারছেন না রোহিত। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ছাড়াও লম্বা ক্রিকেট সূচি রয়েছে ভারতীয় দলের জন্য। আর সেই কারণে যাতে একেবারে ফিট হতে পারেন রোহিত, সেই জন্য নিজের শরীরকে পাতলা করে তুলছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত আইপিএল এ শরীরের মেদ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রোহিত, পেটে দেখা গিয়েছিল বড় ভুঁড়ি। আর সেই কারণে নিজের শরীরের মেদ ঝড়াতে পরিশ্রম করছেন রোহিত।
গত রবিবার ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পড়ে নিজের ছবি ইনস্টাগ্রামে দেন রোহিত শর্মা। আর সেই ছবিতে বোঝা যাচ্ছিল, বেশ অনেকটাই মেদ ঝড়িয়েছেন হিটম্যান। আর হিটম্যানকে নিয়ে বড় আপডেট দিয়েছেন বিসিসিআই এর এক কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারানোর পাশাপাশি রোহিত নিজের শরীরের মেদ ঝড়ানোর কাজও সারছেন।
এই বিষয়ে জনপ্রিয় সংবাদপত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কর্মকর্তা বলেছেন, “রোহিত কোনও সুযোগ ছাড়তে চাইছেন না এই সময়ে। উনি ওনার ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। গত বছর থেকে চোট আঘাতে জর্জরিত ছিলেন রোহিত। আর তার পর আইপিএল এর দায়িত্ব নেওয়ার আগেই লকডাউন এসে পড়ল। গত দুই বছর ধরে ভারতীয় দলের সাথে সমস্ত সফরে যাচ্ছেন রোহিত। যার ফলে উনি নিজের ফিটনেসকে নিয়ে কাজ করার সময়ই পাননি। এখন, রোহিত নিজেকে সঠিক শেপে আনতে বদ্ধপরিকর এবং যাতে ওনার শরীর সারা বছরের লাগাতার ক্রিকেটকে সহ্য করতে পারে, সেই প্রচেষ্টাই করছেন।”
এদিকে আগামী ১১ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রোহিত শর্মার ফিটনেস টেস্ট হবে। সেই টেস্টেই পরিস্কার হয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন কি না রোহিত! কিন্তু ফিটনেস টেস্ট না হওয়া অবধি, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের রিহ্যাব সত্ত্বেও নিজের উপরের শরীরের উপর এই পরিশ্রম কি করা উচিত রোহিতের? এই নিয়ে নিশ্চিন্ত করলেন বিসিসিআই এর সেই কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে বিসিসিআই এর সেই সূত্র জানিয়েছেন, “যতদিন না ফিজিও ক্লিনচিট না দিচ্ছেন, একজন খেলোয়াড় কখনই উচ্চ পর্যায়ের ফিটনেস টেস্টে নামতে পারবেন না। কিন্তু সেই খেলোয়াড় যদি নিজের লোয়ার বডিতে রিহ্যাব প্রক্রিয়া শুরু করেন, তাহলে নিজের আপার বডির কন্ডিশনিং এবং মেদ ঝড়ানোর কাজ করতেই পারেন। একটি হালকা শরীর হলে হ্যামস্ট্রিংয়ের উপর কোনও চাপ পড়বে না।”