কোটিপতি ক্রিকেটারের সুন্দরী ক্রিকেটার দিদি। এই নিয়েই এখন ধুন্ধুমার ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। আর হবে নাই বা কেন! কোটিপতি ক্রিকেটার ভাই ভারতীয় ক্রিকেটে যথেষ্ট নামী মুখ। প্রতিশ্রুতিমান সেই ক্রিকেটারের নাম ঘোরাফেরা করে জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্দর মহলেও। আর তা হবে নাই বা কেন! একে কোটিপতি তায় আবার প্রতিশ্রুতিমান, ফলে চর্চাতে তো তিনি থাকবেনই। ভারতীয় ক্রিকেটে ২০০৮ এ আইপিএল শুরু হওয়ার পর থেকেই টাকা এবং গ্ল্যামারের ছড়াছড়ি। বহু ক্রিকেটারই ক্রিকেটের এই ছোটো সংস্করণের ফলে গলি থেকে উঠে এসেছেন রাজপথে। তেমনই একজন পবন নেগি। ইন্ডিয়ান প্রইমিয়ার লিগের নিলামে যার দাম উঠেছিল ৮.৫ কোটি টাকা! আইপিএলে এমন টকার ছড়াছড়িতে বহু অজানা এবং অনামী খেটে খাওয়া পরিবার থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার লাইম লাইটের আলোয় এসেছেন। দূর হয়েছে পরিবারের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট অভাব। গতবারে তেমনই এক ক্রিকেটার মহম্মদ সিরাজেরও দাম উঠেছিল কোটি টাকার উপরে। আইপিএলে ভালো খেলার সুবাদে জাতীয় দলেও জায়গা পেয়েছেন তিনি। সিরাজের বাবা পেশায় একজন অটো চালক।
তার কথায় আমার ছেলে এখন আর আমাকে আটো চালাতেই দেয় না। এহেন সিরাজের মতই কোটিপতি হয়েছেন পবন নেগিও। আর এই পবন নেগির দিদি ববিতাই হচ্ছেন এই মুহুর্তে ভারতের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা ক্রিকেটার। তবে ববিতার ক্রিকেটের চেয়ে এই মুহুর্তে সৌন্দর্যই তার জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ। তার সৌন্দর্যের চর্চা ভারতীয় ক্রিকেটের অলিতে গলিতে। দিল্লির ৪৬টি ম্যাচ খেলা ববিতার সংগ্রহে রয়েছে ৫৮টি উইকেট। এহেন সুন্দরী ববিতা কীভাবে হলেন ক্রিকেটার? সে বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেছেন, “ আমার ভাইকে দেখেই এই খেলাটার প্রতি আমার আগ্রহ জন্মায়। আমিও খেলতে শুরু করি”।
ভাইকে দেখে শখের বশে ক্রিকেট খেলতে আসা ববিতা এখন একজন পরিনণত ক্রিকেটার। আইপিএলের কোটি টাকা দামের ক্রিকেটারের এই সুন্দরী দিদি ভারতীয় রেলওয়ের সিনিয়র ক্লার্ক। পবন-ববিতাদের আদিবাস ছিল উত্তরাখন্ড। কিন্তু এই দুই ক্রিকেটারের গর্বিত বাবা বছর পঞ্চাশ আগে চাকরির সন্ধানে উত্তরাখন্ড ছেড়ে চলে আসেন দিল্লী। তখন থেকেই এই পরিবার দিল্লির বাসিন্দা, এবং বর্তমানে তারা থাকেন দিল্লির সাদিক নগরে।