ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার পরে এবার আরও এক ক্রীড়া ব্যাক্তিত্বের বায়োপিকে অভিনয় করতে চলেছেন বলিউডের নামকরা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত।মাঠের মত পর্দার ‘ধোনি’ ও সুপারহিট হয়েছে।আর এবার প্যারা-অলিম্পিয়ান মুরলিকান্ত পেটকারের জীবনী নিয়ে তৈরি হতে চলা চলচিত্রের লিড রোলে দেখা যাবে সুশান্তকে।চলচিত্রটির নির্মান কবে থেকে শুরু হবে, তার দিনক্ষণ অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।
https://bengali.sportzwiki.com/1718/hot-pics-of-dhonis-girl-friend/
এই প্রসঙ্গে সুশান্ত বলেন, ‘যখনই আমি এই অ্যাথলিটের গল্পটা শুনি, তখন এতে অভিনয় করা নিয়ে আমি আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি।এটা একটা দারুন অনুপ্রেরণা-মুলক গল্প।পর্দায় ধোনি হওয়ার পরে এখন আমি পেটকারের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তৈরি হচ্ছি।এই অ্যাথলিটটি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে দিয়ে নিজের স্বপ্ন সফল করেছেন।যারা বড় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন, তেমন মানুষের চরিত্রে অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে।’এই বায়োপিকে অভিনয় করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন সুশান্ত। তিনি সাঁতার, বক্সিং এবং পেটকারের অন্য স্পোর্টস ইভেন্টগুলিতে ট্রেনিং নেওয়া শিগগিরই শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে।
মুরলিকান্ত পেটকার সম্পর্কে – ভারতীয় আর্মির একজন জীবন্ত কিংবদন্তি হলেন পেটকার। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।সেই যুদ্ধে তিনি বেশ আহত হন। এর পরে সৈনিক হিসাবে তার কেরিয়ারও শেষ হয়ে যায়।তিনি অবশ্য তাতে ভেঙে পড়েননি। উল্টে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সচেষ্ট হন।সৈন্যদলে থাকার সময়ে তিনি বক্সিং করতেন। যুদ্ধে চোট পাওয়ার পরে তিনি বিভাগ পরিবর্তন করে সাঁতারে চলে আসেন।পাশাপাশি টেবিল টেনিস এবং জ্যাভলিন থ্রো-তেও অংশ নিতে থাকেন পেটকার।
১৯৬৯ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত প্যারা-অলিম্পিকে তিনি ছিলেন দেশের একমত্র প্রতিনিধি।এরপরে ১৯৭২ সালে প্যারা-অলিম্পিকের সাঁতারের ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ইভেন্টে ৩৭.৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন পেটকার।এই আসরেই তিনি জ্যাভলিন থ্রো ও স্কি-তে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, এবং নিজের প্রতিটি ইভেন্টেই ফাইনালে উঠতে সমর্থ হয়েছিলেন।