প্রথম থেকেই টিম আরসিবি নিজেদের দলে একাধিক হেভিওয়েট ক্রিকেটারকে টেনে আইপিএলে নিজেদের চমক বজায় রেখে গিয়েছে। কিন্তু তার পরও বিজয় মালিয়ার এই টি-২০ দলটি এই গ্ল্যামারাস টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। সব মিলিয়ে মোট তিনবার ট্রফি জয়ের রাস্তায় এসেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। গতবারের আইপিএলে তো কোহলিবাহিনী অসাধারণ পারফরম্যান্স করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ফাইনালেও উঠে এসেছিল। সামান্যের জন্য টুর্নামেন্টের রানার্স আপ হয়ে ফিরতে হয়েছিল টিম আরসিবিকে। প্রতিবারই একটি ব্যালেন্সড দল গড়ে এই টি-২০ টুর্নামেন্টটির খেতাব জেতার লক্ষ্যে টিম ব্যাঙ্গালোর তরতরিয়ে এগিয়ে গেলেও, কঠিন সময়ে রুখে দাঁড়াতে না পারার কারণে ব্যর্থতার গভীর কুঁয়োতেই থেকে গিয়েছে।
কোহলি, গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের মতো দলে একাধিক নামকরা ব্যাটসম্যান থাকলেও, বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে দেখা গিয়েছে আরসিবিকে। তবে বেশিরভাগ সময়ে তারা ভুগেছে তাদের বোলিং ব্যর্থতায়। ওই দলে অনিল কুম্বলে, জাহির খানের মতো বোলাররা একটা সময় দাপিয়ে খেলে গেলেও, এখন সেখানে রীতিমতো ভালো বোলারের খরা দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দলগুলি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মূলত নিজেদের শক্তিশালী বোলিং বিভাগের জন্য। সেখানে আরসিবি-র ভালো বোলারের সংখ্যা খুবই কম।
গত মরশুমে তারা মিচেল স্টার্কের মতো বিশ্বের একনম্বর জোরে বোলারকে চোটের কারণে পায়নি। সেটাকে মাথায় রেখে এবারের আইপিএলের নিলাম থেকে মিচেল জনসন, ক্রিস জর্ডানের মতো ভালো মানের বিদেশী বোলার তোলার পাশাপাশি মন দেবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে একাধিক প্রতিভাবান বোলার তুলে নেওয়ার দিকেও। পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে সেই বোলাররা যাতে ভালো ব্যাটিংটাও করে দেন, সেই বিষয়টাও নিলামে মাথায় রাখবে টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এবারে দেখে নেওয়া যাক, সামনের আইপিএলে ভালো ফলাফল করার লক্ষ্যে আরসিবি নিলামে কোন ক্রিকেটারের দিকে নজর রাখবে।