সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আর আরসিবির মধ্যে আইপিএল ২০২০-র চতুর্থ ম্যাচ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচ নিজেদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের কারণে আরসিবির দল ১০ রানের ব্যবধানে জিতে নিয়েছে আর এই ম্যাচ জেতার সঙ্গেই আরসিবির দল পয়েন্টস টেবিলে ২টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসও অর্জন করে নিয়েছে।
আরসিবি খাড়া করে ১৬৩ রানের স্কোর
এই ম্যাচে টস সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দল জেতে আর প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাত করে আরসিবির ওপেনিং পার্টনারশিপ যথেষ্ট ভালো ছিল। এই ম্যাচে ডেবিউ করা দেবদত্ত কাডিক্কল আর অ্যারণ ফিঞ্চ প্রথম উইকেটের হয়ে ১১ ওভারে ৯০ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন। তবে ১২৩ রানের ভেতর আরসিবি নিজেদের ৩ উইকেট হারিয়ে দেয়, কিন্তু শেষে ডেভিলিয়র্স কিছু ভালো শটস খেলেন আর আরসিবির স্কর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে পৌঁছে দেন। আরসিবির হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস দেবদত্ত পডিক্কল খেলেন। অন্যদিকে দলের হয়ে ৩০ বলে ৫১ রানের হাফসেঞ্চুরি করেন এবি ডেভিলিয়র্স। অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই ম্যাচে বিশেষ কিছু করতে পারেননি আর মাত্র ১৪ রানে আউট হন। অন্যদিকে সানরাইজার্সের হয়ে টি নটরাজন, অভিষেক শর্মা আর বিজয় শঙ্কর একটি করে উইকেট নেন।
মাত্র ১৫৩ রানই করতে পারে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দল
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নামা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দলের শুরুটা ভীষণই খারাপ হয়। দলের ১৮ রানের ভেতর ডেভিড ওয়ার্নার (৬) রানে নিজের উইকেট হারিয়ে ফেলেন। এরপর মনীষ পাণ্ডে আর জনি ব্যারেস্টো দলের হয়ে ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে এই পার্টনারশিপের পর সানরাইজার্সের ইনিংস পুরো নড়বড়ে হয়ে যায় আর পুরো দল ১৯.৪ ওভারে ১৫৩ রানই করতে পারে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন জনি ব্যারেস্টো। অন্যদিকে দলের হয়ে ৩৩ বলে ৩৪ রান করেন মনীষ পান্ডে। আরসিবির হয়ে যজুবেন্দ্র চহেল দুর্দান্ত বোলিং করেন আর নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। আসলে এই ম্যাচে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার প্রথম একাদশের নির্বাচন সঠিক করেননি আর কেন উইলিয়ামসন এবং মহম্মদ নবীর মতো তারকা খেলোয়াড়দের প্রথম একাদশের বাইরে রাখেন। যার ফল কোথাও না কোথাও দলকে ভুগতে হয়েছে।
এখানে দেখুন ম্যাচের স্কোরবোর্ড