রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বুধবার খেলা হওয়া এলিমিনেটর ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার ২ এ প্রবেশ করে ফেলেছে। হর্ষল প্যাটেল নিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগদান দিয়েছেন। হর্ষল ব্যাঙ্গালোরের সবচেয়ে কৃপণতম বোলার হন আর নিজের নির্ধারিত ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিনি এক উইকেট হাসিল করেন।
শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১ রান
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্ট টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আরসিবির দল রজত পাটিদারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে ২০৭ রান করে, জবাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসের দল মাত্র ১৯৩ রানই করতে পারে আর এই ম্যাচ ১৪ রানে হেরে যায়। শেষ তিন ওভারে লখনউয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। যার মধ্যে হর্ষল ১৮তম এবং ২০তম ওভারে বল করেন আর সবমিলিয়ে মোট ১৭ রান দেন, যার মধ্যে ৭ রান ওয়াইড ছিল। ১৮তম ওভারে হর্ষল মার্কস স্টোইনিসের উইকেটও নেন।
শেষ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন হর্ষল
জানিয়ে দিই, গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলা লখনউয়ের শেষ ম্যাচ চলাকালীন হর্ষল প্যাটেল আহত হয়ে যান। ফিল্ডিং করার সময় বল তার ডানহাতের বুড়ো আঙুল আর তর্জনীর মাঝের অংশে লাগে, যার ফলে মাঝের অংশ ফেটে যার আর তাতে কয়েকটি সেলাইও পড়ে। কিন্তু হর্ষল তা সত্ত্বেও এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে নামেন আর নিজের বোলিংয়ে কামাল দেখান। এই ম্যাচ চলাকালীনও তিনি আহত হয়ে বাইরে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি হার মানেননি। ম্যাচের পর কমেন্টেটরদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হর্ষল বলেন, “আমার হাত ঠিক আছে, কিন্তু এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে। বুড়ো আঙুল বেশি নাড়ালে ব্যাথা হচ্ছে। আমি ততক্ষণ পর্যন্ত খুশি যতক্ষণ আমি নিজের ২৪টি বল করতে পারি”।
প্রসঙ্গত ম্যাচের পর প্যাভিলিয়ন ফেরার সময় চোটের কারণেই হর্ষল নিজের দল আর লখনউ দলের সদস্যদের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় নিজের বাঁহাত ব্যবহার করছিলেন। আরসিবি এখন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ২৭ মে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখী হবে আর এই ম্যাচ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলা হবে।