রবীন্দ্র জাদেজা রঙ্গনা হেরাথ আর বিষেণ সিং বেদীর মত তারকাদের পেছনে ফেলে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড 1

ভারতের বিরুদ্ধে বিশাখাপট্টনমে চলতি প্রথম টেস্ট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। ভারতের স্পিন বোলারদের সামনে কিছু বছরে বড়ো বড়ো দলগুলি টিকতে পারেনি, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারতীয় বোলারদের উইকেটের জন্য হা পিত্যেশ করিয়ে দেয়।

জাদেজা এনে দেন সফলতা

রবীন্দ্র জাদেজা রঙ্গনা হেরাথ আর বিষেণ সিং বেদীর মত তারকাদের পেছনে ফেলে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড 2

ভারতীয় দলের বোলাররা উইকেটের জন্য লাগাতার সংঘর্ষ করছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ডিন এলগার আর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি’কক পিচে টিকে গিয়েছিলেন আর দুজনের মধ্যে ১৬৪ রানের বড়ো পার্টনারশিপও হয়। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ডিন এলগারকে আউট করেন ভারতীয় দলকে পঞ্চম সফলতা এনে দেন। তার বলে এলগার মিড উইকেটে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন কিন্তু চেতেশ্বর পুজারা সামনে দৌড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন।

২০০ উইকেট করেন পূর্ণ

রবীন্দ্র জাদেজা রঙ্গনা হেরাথ আর বিষেণ সিং বেদীর মত তারকাদের পেছনে ফেলে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড 3

রবীন্দ্র জাদেজা এই উইকেট নিতেই টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেট পূর্ণ করে দেন। তিনি ৪৪তম ম্যাচে এই কৃতিত্ব করেন। তিনি ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১২য় খেলেছিলেন আর তারপর থেকে তিনি দলের প্রধান স্পিনার থেকেছেন। এর সঙ্গেই তিনি শ্রীলঙ্কার স্পিন বোলার রঙ্গনা হেরাথকে পেছনে ফেলে টেস্টে সবচেয়ে দ্রুত ২০০ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি বোলার হয়ে যান। হেরাথ ৪৭টি ম্যাচে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন, অন্যদিকে মিচেল জনসন ৪৯টি, মিচেল স্টার্ক ৫০টি আর বিষেণ সিং বেদী ৫১টি ম্যাচে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।

ভাজ্জিকেও ফেললেন পেছনে

রবীন্দ্র জাদেজা রঙ্গনা হেরাথ আর বিষেণ সিং বেদীর মত তারকাদের পেছনে ফেলে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড 4

ভারতের হয়ে টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত ২০০ উইকেট নেওয়ার বিষয়ে রবীন্দ্র জাদেজা দ্বিতীয় নম্বরে চলে এসেছেন। তিনি তারকা স্পিনার হরভজন সিংকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। ভাজ্জি ৪৬টি ম্যাচে ২০০ উইকেট পূর্ণ করেছিলেন। দলের হয়ে সবচেয়ে দ্রুত ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নামে রয়েছে। তিনি ৩৭টি ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। অশ্বিনের নামে এই ম্যাচের আগে ৩৪২টি উইকেট ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে জাদেজাকে তার আগে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *