ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ত্রয়োদশ মরশুম শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে এই মরশুম ভীষণই ভালোভাবে শেষ হয়েছে যেখানে এক বড়ো সফলতা পাওয়া গিয়েছে। এই মরশুমে বেশি বিতর্ক দেখতে পাওয়া যায়নি। যার ফলে আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল আর বিসিসিআই অবশ্যই খুশি হবে। কিন্তু একটি বিতর্ক এখানে তৈরি হতে পারত।
কোহলি আর পন্টিংয়ের মধ্যে হতে পারত ঝামেলা
এই ঝামেলায় ক্রিকেট জগতের দুই বড় খেলোয়াড় মুখোমুখি জড়িয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু বিষয়টির দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। এই বিতর্কে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং মুখোমুখি হয়েছিলেন। যদিও সৌভাগ্যবশত বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়নি আর এটি চাপা পড়ে যায়। এই বিষয়ের খোলসা দিল্লি ক্যাপিটালসের স্পিন বোলার আর অশ্বিন করেছেন আর তিনি জানিয়েছেন যে কীভাবে কোহলি আর পন্টিংয়ের মধ্যে মুখের লড়াই হয়েছিল।
পন্টিং-কোহলির মধ্যে মুখের লড়াই, কিন্তু ঝামেলা বাড়েনি
এই মরশুমে দিল্লি ক্যাপিটালস আর আরসিবির মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। দুটি ম্যাচে দুই দল ১টি করে জয় হাসিল করে। প্রথম ম্যাচ তো ঠিকঠাক দুই দলের মধ্যে শান্তিতে শেষ হয়, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পন্টিং আর কোহলির মধ্যে চাপানউতোর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে যখন স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট হয় তখন আরসিবির অধিনায়ক অন ফিল্ড অ্যাম্পায়ারের সঙ্গে অশ্বিনকে নিয়ে কথা বলছিলেন, তখনই পন্টিং কিছু বলেছিলেন। আর অশ্বিন বলেন যে, “এরপর দুজনের মধ্যে মুখের লড়াই হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত, এই বিষয়টি খুব বেশি এগোয়নি”।
আর অশ্বিনের খোলসা
আর অশ্বিন বড় খোলসা করেন আর দিল্লি ক্যাপিটালস আর আরসিবির মধ্যে খেলা হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচের কথা বলেছেন। তিনি এই ম্যাচ চলাকালীন একতি ঘটনা নিয়ে বলছেন যে বিরাট কোহলি আর তাঁর দল ফিল্ড ছাড়ার ব্যাপারে তাদের নিয়ে খুশি ছিলেন না। আর যখন এই প্রশ্ন তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসকে করেন তো পন্টিং আরসিবির অধিনায়ককে জবাব দেন। আর অশ্বিন পুরো বিষয়টি নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন যে, “যখন আমি দৌড়চ্ছিলাম, তো আমার কোমরে সমস্যা ছিল। সেটা ভয়ঙ্কর ব্যাথা ছিল। ওরা এমআরআই স্ক্যান করেন আর পাওয়া যায় যে শিরায় টান ধরেছে। বোলিংয়ের পর আমি চলে যাই। আর যেমনটা আপনারা সকলেই রিকিকে জানেন ও কোনো লড়াই মাঝপথে ছারে না। যখন আরসিবি এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তো উনি জবাব দেন যে আমরা এই রকম নই, ইত্যাদি ইত্যাদি”।