ভারতের টেস্ট দলে তার কোনও বিকল্প নেই। গত বছর ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ এর জানুয়ারি মাস অবধি ধরে চলা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেতেশ্বর পুজারার একের পর এক দুরন্ত ইনিংস দলকে এনে দিয়েছে এক নির্ভরতা।অথচ টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রসঙ্গ উঠতেই বড্ডো বেমানান হয়ে পড়েন চেতেশ্বর। আইপিএলে শেষ তাকে খেলতে দেখা গেছিলো ২০১৪ সালে। এর পরবর্তী সময়ে কেউ তাকে দলে নেওয়ার আগ্রহ দেখাইনি। এখনও অবধি এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন ৩০ টি ম্যাচ, রান সংখ্যা ৩৯০। গড় – ২০.৫২।
যদিও সম্প্রতি এই ডান- হাতি ব্যাটসম্যান মুস্তাক আলী ট্রফিতে জীবনের প্রথম টি টোয়েন্টি শতরানটি করেছিলেন সৌরাস্ট্রের হয়ে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। ম্যাচের পরবর্তী সময়ে এই তারকা ব্যাটসম্যানের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তার এই ৬১ বলে সেঞ্চুরি কি পরবর্তী সময়ে আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি গুলির কাছে তার টি – টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার ক্ষমতা প্রসঙ্গে ওঠা প্রশ্নের জবাব? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কারোর কাছে প্রমান করার কিছু নয়, বরং তার নিজের কাছেই এই ইনিংস তাকে ভরসা এনে দিয়েছে যে ক্রিকেটের এই শর্ট ফর্ম্যাটে তিনি এখনও প্রাসঙ্গিকতা হারাননি। যদিও এদিন তিনি বলেন, আইপিএলে তেমন একটা সুযোগ পাননি তাই এই ফর্ম্যাটের সাথে নিজেকে খাঁপ খাইয়ে উঠতে পারেননি কখনও।”
সম্প্রতি ভারতের প্রথম সারির একটি স্পোর্টস ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেতেশ্বর পুজারা বলেন, “কারোর কাছে কোনও কিছু প্রমাণ দেওয়া নয়, বরং এই ইনিংস আমাকে ভরসা জুগিয়েছে যে আমিও আইপিএল খেলতে পারি, সাদা-বলের খেলায় প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি, কঠিন পরিশ্রম যখন মনোঃপুত হয়ে ওঠে তখন একটা আলাদা তৃপ্তি এনে দেয়। এইটা সবে শুরু, ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি লিমিটেড ওভারের ফর্ম্যাটে আমার এখনও খেলা বাকী আছে। কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তনের প্রয়োজন।যদি টেস্ট ক্রিকেট বরাবর অগ্রাধিকার পাবে আমার কাছে “।
আইপিএলে খেলার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না আমি তেমন খেলার সুযোগ পেয়েছি এই টুর্নামেন্টে, যখনই আমি আইপিএলের কোনও দলের হয়ে খেলেছি, দুই-তিনটে ম্যাচের পর আর খেলার সুযোগ পাইনি আমি। একজন ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টির মতো ফর্ম্যাট বোঝার জন্য এবং সাফলতা পেতে হলে যেধরনের যে সুযোগ টা পাওয়া দরকার, যা হয়ে ওঠেনি। বিষয়টা মেনে নেওয়া কঠিন, কিন্তু কিছু করার নেই।”
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় চেতেশ্বর পুজারার। মাত্র পাঁচটি একদিবসীয় ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। করেছেন মাত্র ৫১ রান। অন্যদিকে তার টেস্ট সিরিজে তার কেরিয়ার একেবারে অন্যমেরুতে, এখনও অবধি ৬৮ টি ম্যাচ খেলেছেন, করেছেন ৫,৪০০ রান। ১৮ টি সেঞ্চুরি আছে তার। ইতিমধ্যে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন এই ক্রিকেটার।