নিজের স্কুলের দিনগুলিকে সকলেই মনে করেন, সেই হেড মাস্টারের বকুনি… হোমওয়ার্ক না করায় জোরে জোরে মারা… বেশ কয়েকবার তো দেরি করে আসায় শাস্তি হিসেবে জরিমানাও করা হত। এখন একটু ভাবুন যখন আপনার প্রফেশনাল কেরিয়ারেও দেরি করে আসায় শাস্তি হল তো কেমন লাগবে…
দেরি করে আসার শাস্তি ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়াও ভীষণ ভাবে পেতেন। এর খোলসা টিম ইন্ডিয়ার মেন্টাল কন্ডিশন কোচ প্যাডি অ্যাপটন নিজের বই ‘দ্য বেওরফুট কোচ’ এ করেছেন।
কি বলছে প্যাডি অ্যাপটন

প্যাডি অ্যাপটন নিজের বইতে বলেছেন যে কিভাবে তার সময়ে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট অধিনায়ক অনিল কুম্বলে আর ওয়ানডে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দলের খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিসে লেট আসার শাস্তি দিতেন। প্যাটি অ্যাপটন বলেন যে,
“আমি যখন ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিই তখন অনিল কুম্বলে টেস্ট দলে আর এমএস ধোনি একদিনের দলের অধিনায়ক ছিলেন। আমাদের দলে একটা ভীষণই ভাল প্রক্রিয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। আমরা দলকে বলেছিলাম যে প্র্যাকটিস আর দলের বৈঠকের জন্য সময়ে আসা জরুরী। এই কারণে আমরা দলকে বলি যে যদি কোনো খেলোয়াড় দেরি করে আসে তো তো এমন কোন জিনিস রয়েছে যা তারা ছাড়তে পারেন? আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি আর খেলোয়াড়রা শেষে এটা অধিনায়কের দায়িত্বেই ছেড়ে দেয়”।
কুম্বলে আর ধোনি বানিয়েছিলেন নিয়ম
এখন দুই অধিনায়ক অনিল কুম্বলে (টেস্ট অধিনায়ক) আর মহেন্দ্র সিং ধোনি (সীমিত ওভারের অধিনায়ক) দুটি আলাদা আলাদা নিয়ম বানান। কুম্বলে যেখানে দেরি করে আসা খেলোয়াড়দের উপর ১০,০০০ টাকা জরিমানা লাগিয়েছেন তো ধোনি এর উল্টো দিকে আরো বড়ো শাস্তি শুনিয়েছিলেন। ধোনি বলেন যে যদি কোনো খেলোয়াড় দেরী করে আসেন তো পুরো দলকে একসঙ্গে ১০,০০০ টাকা দিতে হবে।
প্যাডি অ্যাপটন বলেন যে,
“টেস্ট দলে অনিল কুম্বলে বলেছিলেন যে দেরী ক্রএ আসায় দশ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হবে, কিন্তু এমএস ধোনির সঙ্গে কথা বলি তো তিনি বলেন যে শাস্তি পাওয়া উচিৎ এই কারণে যদি কেউ দেরী করে আসে তো দলকে দশ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হবে।ওয়ানডে দলে কেউই দেরি করে আসত না”।
অ্যাপটন আগে বলেন,
“মহেন্দ্র সিং ধোনির আসল ক্ষমতা তার শান্ত থাকা ছিল। ম্যাচে যেমনই পরিস্থিতি হোক না কেন তিনি সবসময়ই শান্ত থাকতেন”।