বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটের সবচয়ে বড়ো তারকা হলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এমএস ধোনি। এমএস ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে যত কৃতিত্ব হাসিল করেছেন, সম্ভবতই আর কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার তা করতে পেরেছেন। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডেবিউ করেছিলেন এমএস ধোনি। কিন্তু তার আগে পার্থিব প্যাটেল ভারতীয় দলের হয়ে ২০০০ সালে ডেবিউ করেছিলেন।
নিজের ছোটো কেরিয়ারের জন্য এমএস ধোনিকে দায়ী মনে করেন না পার্থিব
ভারতীয় দলের হয়ে এমএস ধোনির অভিষেক করার আগে ভারতীয় দলের নির্বাচকরা পার্থিব প্যাটেলকে বেশকিছু সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পার্থিব সেই সুযোগের ফায়দা তুলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। অনেক সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও বারবার তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। পার্থিব প্যাটেলের পরে এবং ধোনির অভিষেকের আগে তাই নির্বাচকরা দীনেশ কার্তিক এবং অজয় রাত্রাকেও সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারাও পার্থিবের মতোই ব্যর্থ হন এবং দল থেকে দ্রুত বাদ পড়েন। এরপরই ধোনিকে দলে সুযোগ দেওয়া হলে তিনি সেই সুযোগের সম্পূর্ণ সদ্বব্যবহার করে দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেন।
এটা বলা ভুল হবে যে ধোনির কারণে আমার কেরিয়ার ছোটো হয়েছে
সম্প্রতি আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় দলের উইকেটকিপার পার্থিব প্যাটেল নিজের বয়ানে বলেন যে,
“বেশকিছু মানুষ বলেছেন যে আমি ভুল যুগে জন্মেছিলাম আর এটা ধোনির যুগ ছিল, কিন্তু আমি আগেও বলেছি যে আমি এমএস ধোনির আগে ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। এটা বলা ভুল হবে যে ধোনির কারণে আমার কেরিয়ার ছোটো হয়েছে। আমি এটা বলে সহানুভূতি চাইনা যে এমএস ধোনির উপস্থিতির কারণে আমার কেরিয়ার ছোটো হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয় যে আমার প্রদর্শন সেই রকম যোগ্য ছিল না যে কারণে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাব”।
যদি সেই সময় আমি ভালো প্রদর্শন করতাম তো আমাকে কেউ রিপ্লেস করতে পারত না
পার্থিব নিজের বয়ানে আগে আরো বলেন যে, “এমনকী দীনেশ কার্তিকও এমএস ধোনির আগে ভারতীয় দলে এসেছিলেন। যদি আমি সেই সময় ভালো প্রদর্শন করতাম, তো আমাকে কেউই রিপ্লেস করতে পারত না। আমি কখনোই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত না খেলার সহানুভূতি খুঁজব না যে এর কারণ আমি ধোনির যুগে জন্মেছিলাম”।
পার্থিব প্যাটেল ২০০৪ এ বাদ পড়ার পর কড়া মেহনত করেন আর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাস্তবে ভালো প্রদর্শন করেন। তার অধিনায়কত্বে গুজরাট দল ২০১৬-১৭ মরশুমে রঞ্জি ট্রফিও জেতে।