ক্রিকেট জগতের সবচেয়ে বড়ো টি-২০ ক্রিকেট লীগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের এই মরশুমের দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার এমন হল যখন এই টুর্নামেন্ট এখনও পর্যন্ত শুরু হতে পারেনি। বিশ্বজুড়ে করোনা নামের প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে আইপিএলের এই মরশুমকে বর্তমানে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
করোনার মধ্যে আইপিএলের আয়োজনের খোঁজা হচ্ছে রাস্তা
বিসিসিআই বর্তমানে করোনার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি পরিস্থিতির উপরও নজর রাখছে যেখানে তারা এই আইপিএলের ১৩তম মরশুমের আয়োজনের রাস্তা খুঁজে চলেছে। ভারতে করোনার রুদ্ররূপ দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় বর্তমানে বেশকিছু ক্রিকেট সিরিজ মুশকিলে রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে এমনিতেও জুলাই আগস্টে ক্রিকেট সিরিজ খেলতে হত, যা বিসিসিআই বাতিক করে দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতের ইংল্যান্ডের সঙ্গে সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবিত ওয়ানডে আর টি-২০ সিরিজ রয়েছে। কিন্তু যেভাবে করোনা বেড়ে চলেছে তাতে এই সিরিজ হওয়া মুশকিল দেখাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সিরিজকে করা হতে পারে বাতিল, তো নিউজিল্যাণ্ড এ দলের সিরিজও হবে বাতিল
সেপ্টেম্বরে ভারতকে ইংল্যান্ড সফরের আয়োজন করতে হবে। ইংল্যান্ডের দল ভারতের তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলার জন্য আসবে। তো অন্যদিকে আগস্টে নিউজিল্যান্ড এ দলকেও ভারত সফরে এক মাসের জন্য আসতে হবে, কিন্তু করোনার কারণে এর সম্ভবনা না এর বরাবর দেখাচ্ছে। এমনিতে এর স্থগিত হওয়া নিয়ে বিসিসিআই কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা করেনি। এটা নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন যে,
“ইংল্যান্ডকে সেপ্টেম্বরে ৬টি ম্যাচ খেলতে হত। নিশ্চিতভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের দল ভারত সফরে আসতে পারবে না। বিসিসিআইয়ের শীর্ষ পরিষদের বৈঠক শুক্রবার হওয়ার কথা, যেখানে ভারতীর এফটিপি আলোচনার প্রধান বিষয় হবে। কিন্তু আমার মনে হয় না যে এফটিপির বিষয়ে আলোচনার পর অফিসিয়াল ঘোষণা করে দেওয়া হবে, কারণ এটা শুক্রবার হতে চলা শীর্ষ পরিষদের এজেন্ডার অংশ”।
এভাবে খুলবে আইপিএলের আয়োজনের রাস্তা
নিউজিল্যান্ড এ দলকে আগস্টে ভারত সফরে আসতে হবে। তারও আসার সম্ভবনা নেই। ব্রিটিশ মিডিয়ার রিপোর্টের মোতাবেক ইংল্যাণ্ডের দল এই সিরিজ খেলার জন্য আগামী বছর সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে আসতে পারে। ভারতে কোভিড-১০এর এখনও পর্যন্ত ন লাখের বেশি মামলা সামনে এসেছে আর মৃত্যুর সংখ্যান ২৫ হাজার পর্যন্ত পৌঁছতে চলেছে। ভারতে যদি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে যায় তা ইংল্যান্ডের আসার সম্ভাবনা নেই। এই সিরিজ বাতিল হলে বিসিসিআইয়ের জন্য আইপিএল আয়োজন করার রাস্তা খুলে যাবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন এটাই যে অস্ট্রেলিয়ায় হতে চলা আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ বাতিল করা হবে কি না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে এই বিশ্বকাপেরও বাতিল হওয়া নিশ্চিত মনে করা হচ্ছে।