সম্প্রতি ভারতীয় খেলোয়াররা তাদের পোশাকের বিষয় অসন্তোষ প্রকাশ করে। আর অসন্তোষ প্রকাশের সাথে সাথে ই খেলোয়ারদের জন্য নতুন প্রশিক্ষণ সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়ে যায় তাদের স্পন্সর কোম্পানি নাইক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় এ সমস্যা সমাধানের জন্য আজ পাল্লেকেল্ল যখন ভারতীয় দল অনুশীলন করার সময়ই হাজির হয় তারা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী মহেন্দ্র সিং ধোনী, বিরাট কোহলী, আজিঙ্কা রাহানে, কেদার যাদবরা নিজেরা পছন্দ অনুযায়ী সামগ্রী বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খেলোয়ারদের নতুন সামগ্রী সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হয়েছে। “খেলোয়াররা এই নতুন সামগ্রী শ্রীলঙ্কা সফর এবং এরপর সেপ্টেম্বর অক্টোবরে ঘরে মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজে ব্যবহার করবেন। তাদের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে নিক আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।” একটি সমর্থিত সূত্র পত্রিকা কে জানায়।
কটি সূত্র জানায় এর আগে খেলোয়াররা ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে নিম্ন মানের ক্রিয়া সামগ্রীর বিষয় জানায়। তাৎক্ষনিক ভাবে ই বিসিসিআইর দুই শীর্ষ কর্তা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল জহরী এবং গেমস ডেভেলপমেন্টের রত্নাকর সেঠী ব্যবস্থা নেয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল জহরি জানান “আমাদের সর্বশেষ সভায় আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেই খেলোয়াররা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করতে পারে না।তাই নাইকের সাথে আলোচনারও সিদ্ধান্ত হয়।” ২০০৬ সালে প্রথমবার ভারতীয় জার্সি প্রস্তুতের দায়িত্ব পায় নাইক। এরপর টানা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তারাই কোহলি- ধোনিদের জার্সি বানিয়ে এসেছে। কিন্তু কখনো এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তাহলে এখন কেন হঠাৎ করে আসলো অভিযোগ ভারতীয় ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে? এ ব্যাপারে নাইক ইন্ডিয়ার প্রধান কির্থনা রামকৃষ্ণাণ অবশ্য মিডিয়ার কাছে কিছু বলতে রাজি হননি।
২০০৬ সালে ১৯৬.৬৬ কোটি রুপিতে বিড করে ভারতের জার্সি তৈরির কাজ পায় প্রতিষ্ঠানটি। আর গত বছর নতুন চুক্তি হয়, যা আগের বিডের প্রায় দ্বিগুণ অর্থে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন চুক্তিটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ সময় নাইকি টিম ইন্ডিয়ার প্রতিটি ম্যাচের জন্য বিসিসিআইকে ৮৭ লাখ ৩৪ হাজার রুপি দেবে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বর্তমানে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে ভারত। টেস্টের মত ওয়ানডেতেও লঙ্কানদের ধোবল ধোলাই করতে চায় ভারত।