প্রাক্তণ ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বুধবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি২০তে উইকেটের পেছনে ২০০র বেশি আউট করা দ্বিতীয় উকেটকীপার হলেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, গ্লোবাল টি২০ প্রতিযোগিতা এবং ঘরোয়া টি২০ মিলিয়ে উইকেট কীপার হিসেবে এই কৃতিত্বে অধিকারি হলেন তিনি। কটকের বারবাটি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে এই কৃতিত্বে পৌঁছন তিনি। গতকাল উইকেটের পিছনে ৪ জনকে আউট করে ধোনি নিজেকে টি২০ ক্রিকেটের দ্বিতীয় উইকেটেকীপার হিসেবে ২০০ বেশি শীকার ধরার তালিকায় ২ নম্বরে তুলে আনলেন। এই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন প্রাক্তণ পাকিস্থানী উইকেটকীপার কামরান আকমল যিনি টি২০তে উইকেটের পেছনে ২০৭টি আউট করেছেন। ১৯২টি শিকার ধরে এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রাক্তণ শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। ১৬৭টি শীকার ধরে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আরেক ভারতীয় উইকেটকীপার দীনেশ কার্তিক। ১৫২টি আউট করে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দীনেশ রামধীন।
বারবাটি স্টেডিয়ামে ব্যতিক্রমী প্রদর্শন করে গতকাল ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি২০তে ৯৩ রানের বড় জীত হাসিল করেছেন। ধোনিই সেই ব্যাক্তি যিনি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ভারতকে বড়ো রানে পৌঁছে দেন। ওই ম্যাচে ২২ বলে ৩৯ রান করেন ধোনি। ধোনির এই ইনিংসে রয়েছে চারটি চার এবং একটি বিশাল ছক্কা যা তিনি ইনিংসের শেষ বলে মারেন। ধোনির এই ইনিংস ভারতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮০ রানের বিশাল স্কোরে পৌঁছে দেয়। ওপেনার কেএল রাহুল ভারতকে একটা দুর্দান্ত শুরুয়াত দেন, এবং ৪৮ বলে ৬১ রান করে আউট হন। শেষ কিছু ওভারে মনীশ পান্ডেকে সঙ্গে নিয়ে ধোনি ভারতকে প্রয়োজনীয় ভারসাম্য দেন। মনীশ দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এবং গোটা দুয়েক বিশাল ছক্কা মেরে ১৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। যার মধ্যে মনীশের মারা গোটা দুয়ে চার এবং ছয়ও রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা কখনোই ম্যাচে ফিরতে পারেনি এবং ক্রমাগত ব্যবধানে তারা উইকেট হারাতে থাকে। যযুবেন্দ্র চহেল যিনি সাম্প্রতিক অতীতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন, নিজের সেই ফর্মকে ধরে রেখে এই ম্যাচেও তার নির্ধারিত চার ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন। জয়দেব উনাকটও নিজেরপ্রথম টি২০ উইকেট নেন, অন্যদিকে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াও কৃপণ বোলিং করে ৩ উইকেট নেন।