ভারতীয় দলে (Team India) বহু খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত গড়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ক্যাপ্টেন কুল বেশকিছু খেলোয়াড়দের কেরিয়ার গড়ার পাশাপাশি বেশকিছু খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ধোনির নেতৃত্বেই বহু ভারতীয় তারকারা মাটি থেকে সাফল্যের আকাশে উঠেছেন, আবার পাশাপাশি যখন ভারতীয় দলের বেশকিছু তারকা অবসর নেন, সেই সময় তারা এমএস ধোনির সমালোচনাও করেছেন। তাদের অবসর নেওয়ার পর আকারে ইঙ্গিতে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাদের এই অবসর নেওয়ার জন্য একমাত্র ক্যাপ্টেন কুলই দায়ী।
এই সমস্ত ক্রিকেটারদের বিশ্বাস ছিল যে তাদের মধ্যে তখনও অনেক ক্রিকেট বেচে ছিল। কিন্তু ধোনির কারণেই তাদের বাধ্য হয়ে সময়ের আগে অবসর নিতে হল। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে এমন তিন ক্রিকেটারের কথাই রয়েছে যারা অবসর নেওয়ার পর তাদের এই সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী করেছিলেন এমএস ধোনিকেই।
বীরেন্দ্র সেহবাগ (Virendra Sehwag)
ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক আলাদাই পরিচিতি তৈরি করেছিলেন নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সেহবাগ। ওপেনারের সংজ্ঞাই বদলে দেওয়া সেহবাগের নামে প্রবাদ অতীতে ওপেনাররা বল ছেড়ে ছেড়ে পুরনো করতেন, আর সেহবাগ বল পুরনো করতেন প্রহার করে। মিডল অর্ডার থেকে সৌরভের হাত ধরে ওপেনিংয়ে আসা বীরেন্দ্র সেহবাগের নামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রয়েছে অগুনতি রেকর্ড। কিন্তু ধোনি অধিনায়ক হওয়ার পর কিছুটা খারাপ ফর্মের জন্য দীর্ঘদিন তাকে দলের বাইরে থাকতে হয়। এক সময় ধোনি-সেহবাগের ঝগড়া শিরোনামে উঠে এসেছিল সংবাদপত্রের পাতাতেও। দলে সুযোগ না পাওয়ায় এক সময় বীরেন্দ্র সেহবাগ বাধ্য হন অবসর নিতে।
অবসর নেওয়ার পর এক সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন নজফগড়ের নবাব বীরু। বেশ কয়েকবার মিডিয়ার সামনেও সেই ক্ষোভের প্রকাশ করেছিলেন শচীন তেন্ডুলকরের প্রিয় সঙ্গী। সেহবাগের অবসর নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়া ধোনি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সেহবাগ, গৌতম গম্ভীর আর শচীন তেন্ডুলকরকে দলে না রাখার কারণ হিসেবে তাদের শ্লথ গতির ফিল্ডার বলে দাবি করেছিলেন। আগুনে ঘি পড়েছিল তারপর। ধোনির এই বয়ানের পর প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেছিলেন বীরেন্দ্র সেহবাগ। একটি সাক্ষাৎকারে সেহবাগ সেই সময় নিজের অবসরের জন্য দায়ী করে বলেছিলেন, ‘ও সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছে কিন্তু টিম মিটিংয়ে কখনও বলেনি যে আমরা ধীর গতির ফিল্ডার”।