একদিকে লড়াই তো অন্যদিকে পুরোনো ভালবাসা, এই দুইয়ের মধ্যে মহম্মদ শামিকে সম্পূর্ণভাবে ফেঁসে যেতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে মহম্মদ শামির জন্য খেলার জীবনে এই সময় গোল্ডেন টাইমের মত, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনে এই সময়টা রাহুর গ্রাসের মত, যা নিজের সঙ্গে সমস্যার ঝুড়ি নিয়ে এসেছে যা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি সমস্যা হল তার উপর লাগা পারিবারিক হিংসার কেস। যার উপর আলিপুর কোর্ট অ্যাকশন নিয়ে তাকে ১৫ দিনের ভেতর গ্রেপ্তার করার আদেশ দিয়েছে।
১৫দিনের ভেতর আত্মসমর্পণের জন্য দেওয়া হয়েছে আদেশ
এই সময় যতই মহম্মদ শামি ওয়েস্টইন্ডিজ সফরের জন্য আমেরিকার জন্য রওনা হয়ে যান কিন্তু তিনি নিজের স্ত্রীর দ্বারা করা পারিবারিক হিংসার কেস নিয়ে নিজের উকিলের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখেছেন আর মামলার তদন্ত করেছেন। যদিও আপনাদের জানিয়ে দিই যে সম্প্রতিই আলিপুর কোর্ট শামিকে ১৫দিনের ভেতর আত্মসমর্পণ করার জন্য বলেছে। মহম্মদ শামি তা না করলে তাকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
পারিবারিক হিংসার কেসের কারণে ফেঁসেছিলেন
মহম্মদ শামির উপর তার স্ত্রী হাসিন জাহান ২০১৮য় বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন আর তার উপর পারিবারিক হিংসার কেস নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এই মামলায় মহম্মদ শামি আর তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইপিসির ধারা ৪৯৮এর অধীনে কেস নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এই কেসের কারণে কলকাতার আদালত শামিকে এখন সারেন্ডার করতে বলেছে। এই মামলায় হাসিন জাহানের বক্তব্য যে আমি ওর উপর যে অভিযোগ করেছিলাম সেটা সঠিক প্রমানিত হয়েছে। ও আমার জীবনে খোলাখুলি নোংরা ছড়াচ্ছে।
অন্য মহিলাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক এবং করেছিলেন বেশকিছু অভিযোগ
হাসিন জাহান শামির উপর অন্য মহিলাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, রেপ, এবং পারিবারিক হিংসার মত গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। হাসিনের বক্তব্য ছিল যে অন্য মহিলাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কারণে মহম্মদ শামি তার সঙ্গে মারপিট করতেন সেই সঙ্গে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিতেন। হাসিন মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং করার অভিযোগও করেছিলেন, যারপর বিসিসিআই শামির বাৎসরিক চুক্তি রদ করে দিয়েছিল। কিন্তু বোর্ডের তরফে তদন্ত করার পর তিনি নিরপরাধ প্রমানিত হত আর আবারও শামিকে চুক্তিতে শামিল করা হয়।