এতদিন চুপ থাকার পর মঙ্গলবার হঠাই এক চটুল উক্তি করে খবরের শিরোনামে এলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেস বোলার মিচেল জনসন। ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ হারার পর জনসন ট্যুইট করে বলেন অজিঙ্ক রাহানেকেই ভারতের অধিনায়ক হিসাবে রাখা জরুরি।
কেন শাস্তি হল না কোহলির, প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তণ অজি তারকা জিওফ লঁসন
চার টেস্টের বর্ডার-গাওস্কার ট্রফিতে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ভারতের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে। ভারতে এসে স্টিভ স্মিথ এন্ড কোং শুরুটা ভাল করলেও খেই ধরে রাখতে পারল না। ধর্মশালায় ভারতের কাছে ৮ উইকেটে লজ্জার পরাজয় জুটল তাদের কপালে। কোহলির কাঁধে চোট পাওয়ার পর এই ম্যাচে অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রাহানেকে। নিঃসন্দেহে রাহানে ভালই নেতৃত্ব দিয়েছে ও জয় ছিনিয়ে এনেছে। তবে একটা ম্যাচের ভিত্তিতে অধিনায়ক নির্বাচন হয়না এটা হয়ত জনসন ভুলেই গিয়েছেন। শুধু রাহানেকে সমর্থন করার জন্য তিনি এই ট্যুইট করেননি। বরং বলা যায় কোহলিকে খোঁচা দেওয়াই জনসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কারণ তিনি ট্যুইটে লেখেন, “রাহানেরই অধিনায়ক থাকা উচিত। এই সিরিজ খুব কঠিন সিরিজ ছিল, আমি মনে করি খেলোয়ারদের সঙ্গে প্রতিটা সময় থাকা উচিত।”
অধিনায়ক হিসেবে কোহলির থেকে রাহানেই বেশি উপযুক্ত, বললেন স্টিভ স্মিথ
অস্ট্রেলিয়ান তারকা বোলারের এই অবাস্তব ট্যুইট করার পিছনে আসল কারণটা হল, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন। যেখানে কোহলির, “ব্যাটিংয়ে তুচ্ছ প্রদর্শন ও ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে সোজাসাপটা বলার মনোভাব” নিয়ে সরব হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান এই মিডিয়া।
এদিকে ম্যাচের শেষে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের প্রতি বিরাটের মনোভাব নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিরাট সাফ জানিয়ে দেন, আর কোনওদিন অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সহবস্থান হবে না। কোহলি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আমার আগের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে। আমি ভেবেছিলাম একটা কঠিন প্রতিযোগীতামূলক লড়াই হবে। তবে সিরিজের শেষে আমার সেই ধারনা ভুল প্রমানিত হল।”
তার এই ধারণা যে আর কখনও বদলাবে না তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি ধারনার এই পরিবর্তনের আর কোনওদিন পরিবর্তন হবেনা।”