যখন দলে একই জায়গায় খেলার জন্য একাধিক বিকল্প থাকে এবং দলের বাহিরে অপেক্ষমানরাও যথেষ্ট যোগ্য হয় সেটা যে কোন দলের জন্য অনেক ভাল হয়। অবশ্য মাঝে মাঝে এটি দলে মধুর সমস্যা তৈরী এবং ভারতীয় দলের দিকে তাকালে তা দেখা যায়। ভারতীয় দলও একথা স্বীকার করবে। লোকেশ রাহুল সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসেছে এবং দলে আছে মানিশ পান্ডেও। তাই ২০ আগস্ট রবিবার হতে ডাম্বুলায় শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম একদিনে ম্যাচে একাদশ নির্বাচনের আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হবে। এর বাহিরে এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে অজিঙ্কা রাহানে সর্বশেষ একদিনের সিরিজে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ওপেনিং এ অসাধারন খেলে চলা রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ানের জুটি ভাঙ্গা কিংবা তিন নাম্বার হতে বিরাট কোহলীকে সরানোর কোন সুযোগ নেই। তাই চার নাম্বারে কে ব্যাট করবে তা নিয়ে ই যত ভাবনা, যেহেতু যুবরাজ সিং দলে নেই তাই নীতি নির্ধারকরা চাইবেন নতুন কাউকে সুযোগ দিয়ে তার অবস্থা দেখতে চাইবে। কিন্তু এই কাজ সহজ হবে না। যুবরাজ দলে না থাকায় এই দাবী উঠেছে যে মহেন্দ্র সিং ধোনীকে চার নাম্বারে পাঠানোর দাবী উঠেছে। সাবেক এই অধিনায়ক তার ক্যারিয়ারের শুরু হতে ই একজন ফিনিসার হিসেবে খ্যাত এবং তিনি ফিনিসার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলছেন। তাকে চার নাম্বারে ব্যাটিং এর সুযোগ দিলে সে আরো বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করার সুযোগ পাবে এবং এতে করে শেষের দিকে তিনি আরো বেশি ঝড় তুলতে পারবেন। গত বছরের নিউজল্যান্ড সিরিজে ধোনী নিজেকে চার নাম্বারে তুলে এনেছিলেন। কিন্তু পাঁচ ইনিংসে একটি অর্ধ শতকের সাহায্যে করেছিলেন ১৯২ রান। বর্তমানে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীসহ অনেক সাবেক ক্রিকেটাররা বলছেন ধোনী উপরে ব্যাট করা উচিত।
এখন ধোনীকে চার নাম্বারে সুযোগ দেওয়া একটি ভাল ধারনা, কারন বিশ্বকাপের এখনো দু বছর বাকি আছে। ভারত নিশ্চিত ভাবে চার নাম্বারে একজন স্থায়ী ব্যাটসম্যান পেতে চাইবে এবং লোকেশ রাহুল ও মনিশ পান্ডিয়ারা এ জায়গা পেতে যোগ্য। লোকেশ এ সিরিজ শুরু করবে টানা আটটি অর্ধ শতক নিয়ে আর পান্ডিয়া ভারতীয় এ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলেছেন।