ভারতীয় দলের প্রাক্তণ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এই মুহুর্তে টি-২০ দল থেকে বাদ পোড়েছেন। এই খেলোয়াড় বর্তমানে নিজের পুরো সময় তার পরিবারকে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই এই কিংবদন্তী খেলোয়াড়ের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যেখানে ধোনিকে নিজের মেয়ের সঙ্গে মজা করতে দেখাযাচ্ছে। জীবাকে তার বাবা ধোনিকে গাজর খাওয়াতে দেখা যাচ্ছে।
ভারতীয় দলের প্রাক্তণ অধিনায়কের এই মেজাজ আগে কখনও দেখা যায়নি
ধোনিকে এই ভিডিয়োতে আরাম করে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে এবং তার মেয়ে জীবা তাকে বড় ভালোবেসে গাজর খাওয়াচ্ছে। ক্যামেরার পেছনে রয়েছেন তার স্ত্রী সাক্ষী। এই ভিডিয়ো ধোনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। অনেক দিন পর এই দুজনের কোনো ভিডিয়ো দেখতে পাওয়া গেলো। কিছুদিন আগেই সাক্ষীর বার্থডে পার্টিতে জীবাকে কোথাও দেখা যায়নি।
এখানে দেখে নিন ভিডিয়ো
মহেন্দ্র সিং ধোনি যখনই নিজের আদরের মেয়ের সঙ্গে থাকেন তিনি একদম বাচ্ছা হয়ে যান। তিনি জীবার সঙ্গে সেইভাবেই খেলেন। ধোনির ফ্যানরাও তার এই রূপ ভীষণই পছন্দ করেন। ধোনির এই মজাদার রূপের কারণে তার ফ্যান ফলোয়িং দারুণ আর এখন তো নিজের বাবার মতই ছোট্ট জীবাও ফ্যানেদের মন জয় করে তাদের নিজের ফ্যান বানাচ্ছে।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নিজের মেয়ে জীবার সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন
মহেন্দ্র সিংধোনির নিজের মেয়ে জীবার সঙ্গে সময় কাটানো ভীষণ পছন্দের। ২০১৫র ৬ই ফেব্রুয়ারী মহেন্দ্র সিং ধোনির মেয়ে জীবার জন্ম হয়েছিল,সেই সময় মাহী টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিলেন। যে সময় সাক্ষী জীবাকে জন্ম দিয়েছিলেন্সেই সময় ধোনি টিম মিটিংয়ে ছিলেন আর নিজের ফোন দেখছিলেন না। তখন সাক্ষী সুরেশ রায়নাকে ম্যাসেজ করেছিলেন আর বলেছিলেন—মাহি বাবা হয়েছেন ওকে বলুন ফোন তুলতে।
একটি ইন্টারভিউ চলাকালীন ধোনি জানিয়েছিলেন যে তিনি জানেন না বাবা হওয়ার পর ক্রিকেটার হিসেবে তার কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, কিন্তু মেয়ে জীবার জন্মের পর একজন মানুষ হিসেবে তিনি যথেষ্ট বদলে গিয়েছেন। তার বক্তব্য ছিল, “ আমি জানি না যে এতে ক্রিকেটার হিসেবে আমার মধ্যে কোনও পরিবর্তন এসেছে কি না, একজন মানুষ হিসেবে অবশ্যই পরিবর্তন এসেছে কারণ মেয়েরা বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ হয়”।
কিছুদিন আগেই ২০১১ বিশ্বকাপের ব্যাপারে করেছিলেন খোলসা
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছিলেন যে, “আমি শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ বোলারদের জানতাম কারণ ওরা আগে চেন্নাই সুপার কিংসের সদস্য ছিলেন। আমি স্বয়ং উপরে ব্যাটিং করতে আসি, কারণ মুথাইয়া মুরলীধরণ সেই সময় বোলিং করছিলেন। আমি ওকে সিএসকের নেট প্র্যাকটিসে অনেক খেলেছি আর আমার সম্পূর্ণ ভরসা ছিলযে আমি ওর বিরুদ্ধে সহজে রান করতে পারব”।