গতকাল ইডেনে কোয়ালিফায়ার ২ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথমে টস জিতে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। গতকালের ম্যাচে কেকেআর তাদের দলে শিভম মাভিকে ফিরিয়ে আনে অন্যদিকে হায়দ্রাবাদও তাদের দলে ফেরায় ঋদ্ধিমান সাহাকে সেই সঙ্গে প্রথমবারের জন্য সুযোগ দেখ খলিল আহমেদকেও
হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানরা দেখায় দম
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গতকাল হায়দ্রাবাদের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই কিছু না কিছু যোগদান দেন। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ঋদ্ধি। তিনি ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও শেষ দিকে রশিদ খান ৩৪ রানের উপযোগী ইনিংস খেলেন। মূলত রশিদের এই ইনিংসের জন্যই হায়দ্রাবাদ বড় রান করতে পারে। কেকেআরের হয়ে দুই উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।
রশিদের সামনে ভেঙে পড়ে কেকেআর
১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের দুই ওপেনার লিন এবং নারিন মাত্র ৩.২ ওভারেই ৪০ রান যোগ করেন। কিন্তু নারিনের আউট হয়ে যাওয়ার পর লিন এবং নীতিশ রানা কেকেআর ইনিংসকে সামলান। এই দুজনে মিলে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। কিন্তু নীতিশ রানার আউট হওয়ার পর কোনও ব্যাটসম্যানই রশিদ খানের সামনে দাঁড়াতে পারেন নি। এবং ২০ ওভারে মাত্র ১৬১ রানই করতে পারে তারা।
হতাশ হন কার্তিক
ম্যাচ শেষে কথা বলতে গিয়ে কার্তিক জানান, “এটা হজম করা খুবই কঠিন। আমরা এই প্রতিযোগিতায় ভাল খেলেছি, কিন্তু হেরে যাওয়া দল হিসেবে শেষ করা খুব একটা ভাল অনুভূতি নয়। রান তাড়া করার সময় আমরা ম্যাচেই ছিলাম, কিন্তু গোটা দুয়েক বাজে শট এবং একটি রান আউটই ম্যাচের মোড় বদলে দেয়”।
তিনি আগে আরও জানান, “আমার, নীতিশ এবং রবিনের শেষ করে আসা উচিৎ ছিল, কিন্ত আমার এটা করতে না পারা আমার তরফ থেকে ভুল ছিল। অনেক পজিটিভিটি রয়েছে, তরুণ তারকারা তাদের সুযোগকে ভালভাবেই নিয়েছে, এবং বেশ ভালই খেলেছে, এটা ফ্রেঞ্চাইজির জন্য খুবই ভাল”।