পুরো বিশ্ব করোনা ভাইরাসের কারণে চিন্তিত। লক্ষাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন আর হাজারো নির্দোষ মানুষ নিজের প্রাণ হারিয়েছেন। এখন এই মহামারি থেকে বাঁচতে সাবধানতার জন্য মানুষ নিজের নিজের বাড়িতে বন্দী হয়ে গিয়েছেন। এসবের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়ীতে একটি দুর্ঘটনা গটে গিয়েছে। তার বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে গিয়েছে। সিলিণ্ডার ব্লাস্ট করার সময় তার স্ত্রী সঞ্চিতা চা তৈরি করছিলেন। এই দুর্ঘটনা চলাকালীন তিনি নিজের মুখ তো বাঁচাতে পেরেছেন কিন্তু তার হাত পুড়ে গিয়েছে।
লিটন দাসের স্ত্রী হলেন দুর্ঘটনার শিকার
লিটন দাসের স্ত্রী সঞ্চিতা ২৭ মার্চ রান্না ঘরে চা তৈরি করছিলেন তখনই সিলিন্ডার ফেটে যায় আর তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যান। এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন আর ২৯ মার্চ তিনি এই ঘটনার ব্যাপারে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে,
“ওই দিন আমি চা বানানোর জন্য রান্নাঘরে যাই। আমি গ্যাস অন করি তো তার শিখা বেরোয়, তখন বার্নারে চাপ বুঝতে পারি আর বিস্ফোরন ঘটে যায়। আমি নিজের ডান হাত দিয়ে নিজের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম, এই কারণে আমার ডান হাত অনেকটাই পুড়ে যায়। যেমনই আমি ঘুরে যাই আমার পিঠের দিকের চুলে আগুন লেগে যায়। আমি কোনোভাবে নিজেকে সুরক্ষিত করতে সফল হউ। প্রথম দিন আমার অনুভব হয়েছল যে গ্যাস লীক হচ্ছিল, কিন্তু আমি সেটা নিয়ে মনোযোগ দিইনি কারণ এটা তখনো কাজ করছিল। হতে পারে এই কারণেই গ্যাস ফেটে গিয়েছে। যদি আমি হাত দিয়ে না আটকাতাম তো পুরো মুখ পুড়ে যেত। এখন আমাকে চুল কেটে ফেলতে হবে। এটা কঠিন কিন্তু আমি এটা সামলাতে পারব। আমি জানি না যে যদি আমার মুখে আগুন লাগত তো কী হত। গ্যাস ব্যবহার করার সময় সকলের সাবধান থাকা উচিত”।
বিশ্বকাপের পর করেছিলেন বিয়ে
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যান লিটন দাস আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ এর শুরু হওয়ার আগে এনগেজমেন্ট করেছিলেন আর টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর নিজের গার্লফ্রেণ্ড সঞ্চিতার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছু ব্যক্তিগত কারণে লিটন দাস শ্রীলঙ্কা সফরে যাননি। বর্তমান সময়ে লিটন দাসও অন্য খেলোয়াড় এবং সাধারণ মানুষের মতো করোনা ভাইরাসের কারণে নিজের বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন। সেই সঙ্গে এই মহামারি থেকে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিজের অর্ধেক স্যালারি ডান করে দিয়েছেন।