ক্রিকেটের অলিতে গলিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির তুলনা করা হয়। আসলে একদিকে এমএস ধোনি ভারতকে ৩টি আইসিসি ট্রফি জিতিয়েছেন তো অন্যদিকে বিরাট টেস্টে তো ভালো নেতৃত্ব করছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো খেতাব জিততে পারেননি। কিন্তু এখন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার আর জনপ্রিয় কমেন্টেটর লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণাণ দুই খেলোয়ড়ের অধিনায়কত্বের তুলনা করেছেন।
বিরাট কোহলি-ধোনির অধিনায়কত্বে পার্থক্য
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এমএস ধোনিকে ক্যাপ্টেন কুল বলা হত, তো অন্যদিকে বিরাট কোহলির আক্রামণাত্মকতা তার পরিচিতি। প্রায়ই দুজনের তুলনা শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এখন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণণ ধোনি আর কোহলির অধিনায়কত্বের শৈলী পার্থক্য জানিয়ে বলেছেন,
“বিরাট কোহলি যথেষ্ট পরিবর্তন করেন, যখন এমএস ধোনি অধিনায়ক ছিলেন, তো তিনি দলে বেশি পরিবর্তন করতেন না। বিরাত কোহলির পরিবর্তন করতে পছন্দ করেন। এই কারণে ও আলাদা আলাদা পিচে আলাদা আলাদা খেলোয়াড়কে বাছেন। বিরাট কোহলি যতটা সফলতা পেয়েছেন তার পেছনে তার বোলিংয়ের বড়ো হাত রয়েছে। কারণ ওর দলের বোলিং বাস্তবে উচ্চ স্তরের”।
আনলাকি আমরা
মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের একমাত্র অধিনায়ক যিনি ৩টি আইসিসি ট্রফি জিতেছেন, অন্যদিকে বিরাটের হাতে এখনো পর্যন্ত আইসিসি ট্রফি ওঠেনি। এই কারণে প্রায়ই বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে আঙুল ওঠে। এখন যখন লক্ষ্মণকে প্রশ্ন করা হয় যে বারবার পরিবর্তনের কারণে বিরাট কোহলি কী আইসিসি ট্রফি জিততে পারছেন না, তো লক্ষ্মণ জবাব দেন,
“না, আমার মনে হয় যে আমরা সামান্য আনলাকি থেকেছি। আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছচ্ছি আর তারপর হারছি। টিম ইন্ডিয়া সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল, যা সামান্য দুর্ভাগ্যজনক ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় যে গত কিছু সময় ধরে আমরা যথেষ্ট ধারাবাহিক থেকেছি”।
টি-২০ বিশ্বকাপের দিকে সকলের নজর
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯এ ভারত সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল। ওই ফাইনাল ম্যাচের পর মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। তবে হারের পর থেকে ভারতীয় দল নিজেদের পরবর্তী লক্ষ্য আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২০কে বানিয়ে ফেলেছে। এর জন্য টিম নিয়মিত টি-২০ ফর্ম্যাটের ক্রিকেট খেলত, কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গত ৩ মাস ধরে ক্রিকেট বন্ধ রয়েছে আর অস্ট্রেলিয়ার আয়োজন খেলা হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপকে স্থগিত করা হতে পারে।