বিশেষ প্রতিবেদন: ভারতের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনিল কুম্বলে। কোচের পদে একটা বছর থাকার পর পদত্যাগ করলেন অনিল কুম্বলে। মূলত ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততার জেরেই প্রধান কোচের পদে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৬ সালের ২৪ জুন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে সঞ্জয় বাঙ্গারের স্থলাভিষিক্ত হন কুম্বলে। তার অধীনে খেলা, কোন সিরিজেই হারেনি টিম ইন্ডিয়া। তবে এ বছর, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধর্মশালা টেস্টে কুলদীপ জাদবকে খেলানো নিয়ে কোহলির সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান কুম্বলে। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের দলপতির সঙ্গে সম্পর্কের-ও অবনতি ঘটে তার।
কুম্বলে টুইটারে স্পষ্ট করে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলির গোঁয়াড়তুমির জন্যই পদত্যাগ করেছেন তিনি। তবে এরপর ব্যাপারটি অারও গড়িয়েছে যখন বিরাট কোহলি নিজের করা একটি টুইট মুছে দেন। সেই টুইটে তিনি লেখেন, ‘কুম্বলে স্যারকে অভিনন্দন। তোমার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অামরা মুখিয়ে অাছি। তোমার সঙ্গে ভারতীয় দল অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।’ বিরাটের এই টুইট মুছে মুছে দেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
কোচের পদ ছাড়ার পর কুম্বলে টুইট করেন,
‘আমার ওপর ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটি যে আস্থা দেখিয়েছিল, তার জন্য আমি সম্মানিত। গত এক বছরে যাবতীয় সাফল্যের কৃতিত্ব ভারতীয় দলের অধিনায়ক, গোটা দল, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফের।’
তিনি অারও লেখেন, ‘বিসিসিঅাই অামাকে জানিয়ে দেয় কোচ হিসেবে অামকে পছন্দ করছেন না ভারত অধিনায়ক। অধিনায়কের আমার কোচিং স্টাইল ও কোচ হিসাবে কার্যকাল বাড়ানো নিয়ে মতান্তর ছিল। আমি বরাবরই কোচ ও অধিনায়কের সীমানার সম্মান করে এসেছি। বিসিসিআই আমাদের মধ্যের ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি বুঝেছি তা মেটার নয়। তাই এটাই দায়িত্ব ছাড়ার সেরা সময় বলে মনে করেছি।’
কুম্বলের কথায়, ‘পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা, উদ্যম, সততা, যথাযথ দক্ষতা ও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গীকে আমি সব সময়ই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কোচ ও অধিনায়কের জুটিকে অটুট রাখতে এগুলিকে মর্যাদা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় দলের স্বার্থে কোচের দায়িত্ব হল আয়না ধরা। যাতে ক্রিকেটাররা নিজেদের ভুল নিজেরাই শুধরে নিতে পারেন।’