এখনও সুস্থ নন বিরাট কোহলি। শুক্রবারও সারাদিন তাঁকে দেখা গেল না নেট অনুশীলনে। স্বভাবতই এই প্রশ্ন দানা বাঁধছে কোহলি আদৌ শনিবার ধর্মশালায় মাঠে নামতে পারবে তো? অবশ্য এই প্রশ্নের এখনও কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায় নি।
নেটে প্রাকটিসে না আসা, আপাতকালীন তৎপরতায় শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে নিয়ে আসা, এই সমস্ত ঘটনায় কিছুটা হলেও বোঝা যাচ্ছে ধর্মশালায় কোহলিকে দেখা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবুও টিম ম্যানেজমেন্ট আরও কিছুটা সময় নিয়ে দেখতে চান। কোহলি বলেন, “আমরা আরও কিছুটা সময় নিয়ে দেখতে চাই। আমি পুরোপুরিভাবে নিজেকে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। তাছাড়াও আমি নিশ্চিত যে দলের খেলোয়াররা আমার দায়িত্ব ঠিকই ভাগ করে নেবে।”
রাঁচিতে প্রথম দিনই ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর তৃ্তীয় দিনে তাঁকে আবার মাঠে দেখা যায় ব্যাট করতে। তখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু বৃহস্পতিবার নেটে কোহলিকে দেখা না যাওয়ায় চিন্তা ঘণীভূত হয়। শ্রেয়াস আইয়ারকে আপাতকালীন তৎপরতায় ডাকার ফলে সেই সম্ভাবনা আরও নিশ্চিত হয়। এদিকে, কোহলি খেলতে না পারলে বেশ কিছুটা বদল হতে পারে ভারতীয় শিবিরে। শ্রেয়াস আইয়ারের টেস্ট অভিষেকের পাশাপাশি দলে আসতে পারে জয়ন্ত যাদব। কারণ করুন নায়ার দুটি টেস্টে সুযোগ পেলেও তাঁর ব্যাটে সেভাবে রান আসেনি। এই জায়গায় বল করতে সক্ষম জয়ন্তকে দেখা যেতেই পারে নায়ারের জায়গায়।
অন্যদিকে মহম্মদ সামির ধর্মাশালায় খেলতে নামার কথা থাকলেও তাঁকে নামানো হবেনা। যদিও সামি ইতিমধ্যেই ধর্মশালায় পৌচ্ছে গিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টে কোহলির না থাকাটা বিশাল বড় একটা ধাক্কা ভারতের কাছে। কারণ এই টেস্ট যে জিতবে, তার হাতেই উঠবে বর্ডার-গাওস্কার ট্রফি।